আলোচনার ছন্দবদ্ধ রূপ:

নজরুল নামটি নয় এক গল্প, নয় কেবল কবি পরিচয়,
তিনি বিদ্রোহ, তিনি আগুন, তিনি যুগের দৃপ্ত আলোড়ন ছয়।
"বিদ্রোহী" নামের সেই কবিতা, গর্জে ওঠে বুকে বাজে,
প্রতিবাদের এক মহাকাব্য, শোষিত জনের হৃদয়রাজে।

তিনি বলেন—
"আমি চিরবিদ্রোহী বীর—বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি গান,
মম এক হাতে বাঁকা বাশি, আর হাতে রণতূর্য"—সেই প্রাণ!
ছন্দের মাঝে বিদ্রোহ উঠে, ছন্দেই যেন যুদ্ধ চায়,
বুকের রক্তে লিখে গেছেন—গর্জে ওঠার মহাস্বর তায়।

শক্তির তীরে বলের বার্তা, ভাষায় জ্বলে অভিশাপ,
ধর্ম, জাতি, গোত্র ভেদাভেদ—সব ভাঙার সাহস তার চাপ।
কাব্যের কণ্ঠে তড়িৎ বাণী, যেন বজ্রের ঝঙ্কার বাজে,
বাংলা মাটি কাঁপিয়ে বলে—“এই কবি কারো নয় রাজে।”

এই নজরুল বাঙালির বুকে, আশার মতো দীপ্ত দ্যুতি,
আঁধার কেটে দেন দীপ্ত আলো, দেন বিদ্রোহের সত্য সূচি।
আজও তাঁর সেই কবিতা পড়ে, জ্বলে উঠে প্রাণের দীপ,
"বিদ্রোহী" নয় শুধু কবিতা—এ যে চিরচেতনার নীপ।

শেষকথা:
এই রচনাটি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী কবিতা "বিদ্রোহী" নিয়ে ছন্দময় আলোচনার চেষ্টা।