কি আনন্দ! কি আনন্দ!
ভারী মজা হবে, পুজো এসে গেছে,
নতুন নতুন জামা কাপড় কিনবে সবাই-
দোকান পসরা তাই নতুন ভাবে সেজেছে।  


আসবে অনেক খরিদ্দার থাকে দোকানী আশা করে-
পুজোয় করবে আনন্দ, তারই দোকানের কাপড় পরে,
ক্রেতারা আসে, কেউ চলে যায় দাম গুলো জেনে-
চলাও কঠিন ঠেলে ঠেলে, শুধু ফুটপাথ ভরা মানুষের ভীড়ে।


নেই খরিদ্দারের কুল, শুধু দেখা মানুষের মিছিল-
সবাই চলছে, পাওয়া যাবে কোনখানে সস্তায়,
মেয়ের দাবি, ছেলের আড়ি, বৌয়ের শাড়ি-
পছন্দমত মিলেনা কারুর, শুধু চলতে থাকে রাস্তায়।  


অতিবর্ষায় চাষীর চাষ নষ্ট-
এ বছর মাঠে নেই তেমন বেশি ধানের শীষ,
মাঠ ভরা আগাছায়, আর কতক খেয়েছে পোকায়-
চিন্তায় মলিন মুখ তার, নেই আশীর্বাদ আশীষ।
  
তারা থাকে অজ পাড়াগাঁয়ে -
শহরের মতো চলেনা,
তারা তাদের মনের কথা -
এভাবে কোনদিন বলেনা;


যেমন:
থাকো তোমরা সুখের ঘরে,
পরিবার পরিজন নিয়ে,
মশাবিরোধী প্রচার করো,
দিনে মশারি টাঙিয়ে।


পুজোর দিনে খুশি কিনে -
করো তোমরা মজা,
রাতে দিনে ঘাম ঝরিয়ে -
কাটাই আমরা প্রকৃতির সাজা।


আমরা থাকি যেমন আছি -
অন্ধকারে বাতি জ্বালিয়ে,
না খেয়েও যোগান দেবো তোমাদের -
চিরকাল সবুজ খাদ্য বানিয়ে।


শহরের বাবুরা এসো একদিন-
দেখো আমাদের গ্রামের উত্সব,
পুজো এলো আর গেল, আমাদের কি কিছু হলো!
একদিন হবে ফয়সালা সব!


* এই কবিতাটি প্রিয়কবি তানিম মুশফিক মহোদয়কে উত্সর্গ করছি।