এই সমাজের অনেক কাহিনী
প্রাচীন কাল থেকে শুনি,
কত ঘটনা - কত ইতিহাস,
হাসি, কান্না - ঠাট্টা, পরিহাস।


কখনো ইতিহাসের ছেঁড়া পাতা থেকে,
কখনো - মুনি, ঋষি, রাজা-রাজড়া,
প্রজা, জমিদার, শাসক, প্রশাসক,
বিদূষক-বিদেশিনী'র লেখা থেকে।


সত্যকাহিনী - সততার মানুষ,
ধ্বংসের কাহিনী - সৃষ্টি হিংস্র মানুষ,
চরিত্র তফাতে - মানুষ হয়েছে অমানুষ,
নারীকে সম্মান - সভ্যতার শুভ লক্ষণ,
বর্তমান সমাজ বোঝে বিলক্ষণ।


সেনেরিটা, মোনালিসা, সুরঞ্জনা,
গার্গী, মৈত্রেয়ী থেকে মমতাজ শোভনা,  
বহু নারীর কল্প চরিত্র, গল্পকাহিনী,
কখনো ভৈরবী আবার কখনো হৃদয়মোহিনী,
রক্তাক্ত প্রেমিক - প্রেমিকা থেকে
ক্রুর মন্ত্রীর শয্যাবিলাসিনী।


মানুষের হৃদয়ে রয়েছে রমনীর চিত্র
কখনো নারী অবহেলিতা, শোষিতা, লাঞ্ছিতা,
আবার নানা গুণে গুণান্বিতা - পূজিতা,
স্নেহ মায়া মমতায় ভরা স্নেহময়ী মাতা,
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে যুগযুগ ধরে লড়াইয়ে প্রাপ্তি -
সম্মান, শ্রদ্ধা, মান্যতা সকল পরিপূর্ণতা।


নারীর অসম্মান - ধ্বংস অনিবার্য,
যতই থাকুক - পুরুষের শৌর্য-বীর্য,
যুগ যুগ ধরে তাই বৃদ্ধি নারীর সম্মান,
যে দেশ-জাতি নারীকে দিয়েছে বেশি সম্মান,
যুগে যুগে - সেই দেশ বা সেই জাতির,
পতাকা হয়ে রয়েছে উড্ডীয়মান।