জীবন ভুমিষ্ঠ হওয়ার সময়ে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না যে, নবজাতকটি তার পরবর্তী জীবনে পুলিশ হবে, না চোর। কিংবা কেউকেটা, না অতি সাধারণ।কিন্তু মৃত্যু একেবারে নিশ্চিত, নির্ধারিত তার জীবনে। তবুও জীবন অবিশ্বাস করতে ভালোবাসে মৃত্যুর সেই অমোঘ আগমনী বার্তা-  


"এই অবিশ্বাস সব মৃত্যুরই পাওনা থাকে"


অমুক হোক কি তমুক,নামকরণ যে জীবিতের জন্য বরাদ্দ। প্রত্যেকটা নাম একটা আলাদা ব্যক্তি পরিচয়। কিন্তু মৃতদেহ তো নামহীন এক সার্বজনীন পরিচিতি-
কবি তাই নাম দেননি তাঁর কবিতায়। একেবারে যথার্থ। একেবারে মৌলিক চিন্তার ফসল।
আসরের সুকবি সুপর্ণা তাঁর ব্যতিক্রমী ভাবনায় চিরন্তন সেই চিরবিচ্ছেদ তুলে ধরেছেন এমন নামহীন কবিকথায়-
বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষারত অবস্থায় মৃতদেহ দেখেছেন তিনি। দেখেছেন সাদা রজনীগন্ধার কিংবা চন্দন ধূপের গন্ধ।
আমরা কে না দেখেছি এমন মৃত্যু শকট। কে না দেখেছি তার উগ্র প্রকট রূপ। পরিচিত পরিজনের কাউকে না কাউকে চলে যেতে দেখে অকাল শ্রাবণ নেমে এসেছে তো আমাদেরও দুচোখের দুকূল বেয়ে।
তবু ওই যে,"অবেলায়" চলে যাওয়া...  
আর ওটাই যে হাহাকার করে উঠলো গোটা বুক জুড়ে-
হ্যাঁ,প্রিয় কবির ওই "অবেলায়" শব্দটি দিয়ে শেষ করা অসাধারণ কবিতাটিকে আরও অপরূপে আরোহণ করিয়ে দিল।
অপূর্ব কথনশৈলী তাঁর। পাঠকের হৃদয়ে আসীন হওয়ার অলৌকিক অসাধারণত্ব বিদ্যমান তাঁর মধ্যে।
এক্ষেত্রেও একইরকম মুনশিয়ানায় মুগ্ধ করলেন তিনি।
ভালো থাকার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই তাঁকে।