তুমি কি শ্রবণ করনি সেদিন?
ধর্ষিতার করুণ আর্তনাদ ভেসেছিলো যেদিন।
তুমি প্রত্যাক্ষ করনি সেদিন?
লাশের উপর ছোট শিশু গড়িয়েছিল যেদিন।


খালি বক্ষে মাতার চিৎকার
শিশু ফিরিয়ে দেবে না তো কারো অধিকার।
হে যুবক! তবে কেন তুমি তন্দ্রার ঘোরে?
উঠে এসো তন্দ্রা রেখে অঙ্কুরে।


গর্জে উঠে জাগ্রত হও সাহসী যে তুমি
নিপীড়িতের তরে বিলাও প্রাণ কাঁপিয়ে দাও ভূমি।
হে যুবক! সময় হয়েছে তোমার
অত্যাচারি শোষকের প্রতিবাদ করার।


হে যুবক! জিঞ্জির হতে বেরিয়ে এসো
বৈরীর বিরুদ্ধে ফনীর মতো ফুঁসো।
অঞ্জর হস্তে লড়াই চালাও
বীরের বেশে আগে পা বাড়াও।


শান্তি আনো ধরার কপাট ভাঙ্গো কারার
ধরণীর মাঝে পড়েছে মরিচা
তোমার শীরকে কর উঁচা
ধ্বংসের কবলে পড়েছে গোত্র
তীরন্দাজ হয়ে হামলা দাও সর্বত্র।


ভেঙ্গে দাও জিঞ্জিরের শেকল
মুচড়ে হাত করে দাও বেকল।
বিষাক্ত খঞ্জরের আঘাতে
ময়লাযুক্ত পদাঘাতে।


দ্বিখণ্ডিত কর অত্যাচারির মস্তক
তবেই বৈরী হবে অন্তক।
হে যুবক! পিছু হটবে না তুমি
কেড়ে নেয় নেক প্রাণ
সকলের তরে বিলিয়ে দাও জান।


উৎপীড়িতের হবে বিজয়।
তাদের তরে করিও না মস্তক নত
তুমি সাহসী, বিদ্রোহী দেখিয়ে দাও অন্তত।
যুদ্ধে ময়দান কেঁপে উঠবে
বিস্মিত, অবাক সকলেই হবে।


যুবক তোমার ধারালো অস্ত্রের ধ্বনীতে
জননীর ক্রন্দনরোল পড়বে নানান বানীতে।
সাইক্লোন বেগে ক্ষিপ্ত হয়ে হাজির হও ধরায়
বিদ্রোহী হয়ে বিদ্রোহ দেখাও সমস্ত দুনিয়ায়।


ওহে যুবক! এবার কাটুক তোমার ঘোর
রবি উদিত ঈশাণ কোনে, হয়েছে এবার ভোর।


তারিখঃ ০৫/০৬/২০২০ইং