তোমার মিথ্যে ভালোবাসার আশ্বাসে
আমার কবিতারা মুখ লুকায়
এই অন্ধকার রাতে।
লজ্জা পায় চাঁদের কলঙ্ক সেও-
স্থান কাল পাত্র সব ভুলে
আমি রাহুগ্রস্ত হয়ে পড়ি।
যথার্থ মূল্যহীন তোমার প্রতিশ্রুতি
প্রেমের ভাষা তো তুমি বোঝ না।
মধ্য বয়েসের এই জরাজীর্ণ শরীরটা
নিয়ে বয়ে বেড়াও নগরের রাজপথে।
তাচ্ছিল্যের বাঁকা ঠোঁটে তোমার ক্রুর হাঁসি।
প্রতিদিন তুমি আমাকে দগ্ধ করেছো
তোমার মায়াবী ছলনায়।
শ্রাবনের এই বৃষ্টি ধারায় আমি
তোমার উন্মাদ প্রেমিক, আঝরে ভিজেছি।
তবুও আমি কামনা করেছি তোমাকে—
আত্মজের তৃপ্তি নিয়ে বেঁচে থাকো তুমি।
যে ভিক্ষান্নে তুমি বাঁচো
সেই অনাথ ভিক্ষার পথিক তুমি।
ঠিকানা বদলের দরকার নেই !
তোমার দোতলা ঘরের কড়ি-বরগা
সেও তোমায় দেখে হাঁসে।
অশান্তির এই কর্কট বলয় থেকে
শান্তির স্রোতে ফিরতে পারবে না কোনদিন।
তোমার শিক্ষা, তোমার সম্ভ্রম সবকিছু
তুমি ধুলায় লুটিয়েছো।
লাথি মেরেছো তুমি তোমার মনে সঞ্চিত
পুরুষের অভিমানে।
তোমার নিঃসঙ্গ জীবনের সঙ্গী
ঘৃণার আগুন।
ভালোবাসাহীন জীবনে তুমি
হও যন্ত্রণার মুখোমুখি।
তোমার এই দীর্ঘ পরবাসে
‘ তুমি ছিলে আমার বড় গর্বের —’
পূর্ণিমার চাঁদের কাছে করেছিলাম গল্প।
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দেখেছি
তোমার শরীরে আছে ঈর্ষার আগুন
সে আগুনে হও চুরমার।
মলিন হবে তোমার শিল্পীত মুখ
তোমার রুচিতে বাধে আমার সংসর্গ।
এত ঘৃনা এত তাচ্ছিল্য এত অবহেলা
মনের মধ্যে পোষণ করেছিলে।
তোমার মিথ্যে ভালোবাসার মৌনতার
বুক থেকে ঝরে যায় আমার কবিতারা।