তুমি আমাকে যতই ধৃনা কর
যতই অভিশাপ দাও—
শহরের অন্ধ গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে
তোমার বিপন্ন চোখের আগুনে
আমাকে করতে চাও ভস্ম।
তবুও আমি বাড়িয়ে রেখেছি আমার
ভালোবাসার হাত।
তোমার ওই মুখ দ্বিতীয় বার দেখি
বার বার দেখি—
গর্বের উদ্ধত চূড়া থেকে নেমে
সাম্রাঞ্জীর তুহিন গৌরব থেকে ছিন্ন কর আমাকে।
তোমার দিনরাত্রির হতাশায় আমাকে কর
পরিত্যক্ত তোমার পরিনামহীন তুচ্ছতায়।
আবার ফিরে আসি আমি তোমার সামনে
হৃদয়ের নিরুচ্চার প্রার্থনা ঢেলে।
তোমার তীব্র অভিমান মুছে আমি
বার বার হয়েছি তোমার কান্নার কাজল।
তোমাকে হারাতে পারি এই তীক্ষ্ণ
সর্বনাশা ভয় থেকে আমাকে দাও মুক্তি।
তুমি যেও না দূরে সরে
যে দুঃখ আমাকে দাও
সেই যন্ত্রনায় তুমিও জ্বলো সারাক্ষণ।
নিজের মধ্যে নিজেকে খুঁজে দেখো
তোমার সব দুঃখের হিসেব হবে উন্মোচন।
হৃদয়ের গভীরে জমে আছে যে অবিশ্বাসের অন্ধতা
স্থির জেনো এরও হবে প্রাঞ্জল অন্বয়।
তুমি আমায় যতই ঘৃনা কর
আমাকে যতই আঘাত দাও
সেই আঘাতে আমি হয়েছি বিমুক্তভয়।
আমি চিনেছি তোমায়
তোমার মৌন ভালোবাসায়।
সরিয়ে দাও যত গাঢ় অপব্যয়
আর আরদ্ধ জড়তা।
তারপর কোন রক্তক্ষয়ী বিকালে
কিম্বা বেদনাবিদ্ধ সন্ধ্যার আকাশে
পৃথিবী থেকে দূরে সরে গিয়েও
মেঘ হয়ে ফিরে আসি তোমার
চোখের অশ্রুর আবেগে।