সন্ধ্যার আকাশের দিকে তাকালে
তোমার ছায়া দেখি তারাদের ভিড়ে
তুমি অনেকদিল হ’ল
বৃষ্টির মত আসো না আমার তৃষ্ণার কাছে।
আমি চেয়ে থাকি সেই রাস্তার দিকে
যেখান দিয়ে তুমি প্রতিদিন আসো আমার কাছে
আমার উৎসুক দৃষ্টিতে শুধুই স্বপ্নের মায়া—
প্রতিদিনের মত আজও রাত নেমেছিল
এই শহরে।
রতি সুখসারে মায়াবী অন্ধকার ছুঁয়েছিল
আমার স্বপ্নঘুম।
কবে যেন এসেছিলে কাছে
মহুয়া নিম শিশুর পাতায় কাঁপন লাগিয়ে
এই পৌষের শীতে।
সেদিনও ছিলে একান্ত নিভৃতে
দিয়েছিলে তোমার তপ্ত ঠোঁটের সবটুকু আবেগ।
যুবতী জ্যোৎস্নার থৈ থৈ যৌবনে
আহ্লাদী সোহাগে দিয়েছিলে পূর্ণতা স্তব্ধবোধে।
       তোমার দুচোখের পাতায় ছিল স্বপ্ন
আমিও তো ছিলাম তোমার পাশে
তোমার স্নেহছায়া জুড়ে আলিঙ্গনে।
শরীরের সমস্ত শক্তি জড়ো করে
দুহাত বাড়ায়ে আঁকড়ে ধরেছিলে
যৌবনের উত্তাল তরঙ্গে।
হেমন্তের এই রাতে উচ্ছ্বসিত তুমি
কতটুকু পথ হেঁটে গেলে
জীবনের সবটুকু পাওয়া যাবে।
      বহু আলোকবর্ষ পর তোমার সাথে দেখা হলে
হৃদয়ের গভীরে যে প্রেম আছে
সেই প্রেমের অভিকর্ষজ টানে
তুমি কি আসবে ছুটে এলোমেলো চুলে।
নারীর সুষমা বুঝি পারে ভেঙ্গে দিতে
অন্ধকারে ফুটে ওঠা রঙিন লোভ।
তোমার সম্পূর্ণ শরীরে মিশে আছে
সোহাগ মাখা নীল লোনা জল।