অপলক চেয়ে দেখি আমি তোমার
ওই সুখতৃপ্ত মুখ।
কিন্নরী বুঝিবা – খোদিত আছো
কোনার্ক বা খাজুরাহে কালের প্রবাহে
সদা হাস্যময়।
জীবন তোমার কাছে সতত সুখের
ফুটে থাকা কমল যেন।
সব কিছু কি পেয়ে গেছ
যা কিছু বাঞ্ছিত মানুষের –
ভোগে-অনুরাগে ঋদ্ধ স্বরাজ।
তবুও নিরুৎসুক তুমি, সব কিছু পেয়েও
স্তব্ধ তোমার দিবসরজনী।
জীবনের তৃষ্ণা নিরবধি লেগে থাকে ঠোঁটে
আমিও জীর্ণ হব তোমার মত লুব্ধ কালগ্রাসে।
যে দিন ছুঁয়ে ছিলাম তোমার চোখ
পরম আদরে।
ঘুমিয়েছিলে তুমি সুখনিদ্রা।
তুমি মুগ্ধ বাহুবৃত্তে ঘিরে ধরো আমায়।
তোমার কম্পিত হৃদয়ে ওঠে
জলপ্লাবনের মত অলৌকিক অব্যর্থ মদিরা।
আমার সমগ্র সত্তা জুড়ে ওঠে জলোচ্ছ্বাস
আমার সর্ব দেহে জড়িয়ে যাওয়া লতার মত
প্রবাহিত নদীর ফল্গুধারা।
ভালোবেসে কানে কানে বলো
এসো বাঁচি এক জীবনের মৃত্যহীনতায়।
যে মুহূর্তে তোমার ঠোঁট চুম্বন করে
তোমার প্রিয় পুরুষের ঠোঁট
সজীবতায় ভরে ওঠে জীবন তোমার
মুছে যায় সমস্ত ক্ষতচিহ্ন ব্যর্থতার কালিমা।
জড়িয়ে থাকো আমার বুকে তুমি
কামতপ্ত আনত রমণী।