আমি নারী; প্রকৃতির ধারক-বাহক।
শত সহস্রাব্দ আমি বেঁচে থাকি প্রকৃতির করুণায়
তোমরাও করুণা কর তাই।

শিল্পীর ক্যানভাসে ঠাঁই হয় আমার সুঢোল স্তনের ভাঁজ
আমার উরুর গোপন খাঁজ-আমার অধরের উষ্ণ আবেদন
তোমাদের রঙ-তুলির আঁচরে আমি ‘র’ ম্যাটেরিয়াল ।

আমি নারী; প্রকৃতির শষ্যক্ষেত্র।
শত-শতাব্দ ধরে বীর্য কঠিন কর্ষণ করেছ আমার কোমল দেহে,
আগাছা উপড়ে তৈরি করেছো তোমার নিষ্কন্টক ফসলের বীজতলা।
চেয়েছো বৃষ্টিজল, খুঁজেছো উর্বরতা
বাড়াতে  উত্পাদন তোমার।

আমি নারী; আমি রমনী!
রতি রমনের বাইরেও আমার আরেক পরিচয় আছে,
আমি মানবী ।

শরীরের উর্বরতার মতো আমার মস্তিস্কের উর্বরতা খোঁজনি।
স্তনের ভাঁজের মতো তুমি আমার মননের বন্ধুরতা বোঝনি।
অধরের উষ্ণ পরশের মতো হৃদয়ের উষ্ণতা চাওনি।
তোমার কর্ষিত ছিন্নভিন্ন বীজতলায়-
আমার মৌলিক মানবিক বিনির্মানের যে ফসল ফলেছে
তাকে লালন করনি।

পুরুষ! আমার উর্বর জমিতে
তুমি কেবল এক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার টিলার !