স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, নেই আনন্দ উৎসব
চারিদিকে যেন আজ, শনশন ভাব
স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে নানা শ্লোগান
হঠাৎ তান্ডব শুরু, ভয়ংকর আগুনের লেলিহান
বিপন্ন লোকালয়, সব কিছু পুড়ে ছাই
জীবন দিতে হলো গুলিতে, কিন্তু কেন ?      
ভিন্ন উপায়ে তো রক্ষা করা যেত তাদের
যদি আঙ্গুল তুলে দেখাও- সরকার
তবে, কেন রুখে দাঁড়াও না তুমি ?
মরতে হবে ! এত ভয় লাগে তোমার
অথচ যারা বুকের তাজা রক্ত দিল স্বাধীনতার
তাদের স্মরণে একটু শ্রদ্ধা, নেই ভক্তি তোমার
তাই তো মহান স্বাধীনতার অপমান কর
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভ দিনে ।


এই স্বাধীনতা আসেনি, শুধু একটি ঘোষণায়
দুই যুগের অসহনীয় অত্যাচার, মানুষের বলিদান
কত আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুম
খেটেছে অগণিত মানুষ-নেতা, তবুও দেয়নি অধিকার
শেষে নয় মাসের রক্ত বন্যা, মা-বোনের ইজ্জত
সব কিছু করে ধবংশ, অবশেষে স্বাধীনতা ।


মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ঋণ, কোন দিন অস্বীকার নয়
দেখেছে বিশ্ব, কিভাবে দিয়েছিল আশ্রয়
ব্যক্তি কখনই বড় নয়, সবার উপরে দেশ
একাত্তরের সেই কৃতজ্ঞতাই জানালো বাংলাদেশ
আজ মহা গৌরবের সেই মহা মাহেন্দ্র ক্ষণে
ব্যক্তি নয়, অতিথি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী
ক্ষেপে দাঁড়ালো ওরা, যত ইসলামের লেবাসধারী
করে দেশ জুড়ে, ইসলামের নামে ফন্দি
দেওবন্দ মাদ্রাসার শত বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি
কি করে হয়েছিল সেদিন, হিন্দু ইন্দিরা গান্ধী ?


আসলে যারা কখনো চাইনি, স্বাধীন হোক বাংলাদেশ
তাদের কাছে সত্যিই পীড়া দায়ক, স্বাধীনতা দিবস।।