আজকে আমি খুলেছি
পুরানো দিনের ছবি,
যেখানেতে আঁকা ছিলো
নিত্য দিনের সবই।


খুব সকালে ঘুম থেকে
উঠাই দিত আমার মা,
আদর করে বলতো মা'য়ে
যারে মানিক মোক্তবে যা।


মোক্তবে তে শিখতাম আমি
আখিরাতের শিক্ষা,
যেখানেতে পেতাম আমি
জীবন চলার দীক্ষা।


বাড়ি ফিরে নাস্তা করে
যেতাম আবার স্কুলে,
স্কুল গিয়ে এসেম্বেলিতে
দাঁড়াতাম সকলে।


তারপরেতে এক এক করে
৭ টি ঘন্টা করতাম পার,
মধ্যখানে টিপিনের আড্ডায়
ধারতাম না কারো ধার।


মাজে মাজে মার খেতাম
মাষ্টার মশাইর হাতে,
পড়া না পারা কিংবা
শয়তানির বদলতে।


স্কুল ছুটির সময় সবাই
বের হতাম একসাথেই,
কে কার আগের বের হবো
এটা নিয়ে চলতো লড়াই।


স্কুল থেকে এসে সবাই
লাফ দিতাম পুকুরের তরে ,
ঘন্টাখানিক সেখানে ধাপিয়ে
উপরে আসতাম মায়ের ভয়ে।


দুপুরের খাবার খেতে বসতাম
পরিবারের সবাই মিলে,
খাবার শেষে ঘুমাতে যেতাম
মা-ছোট ভাইয়ের সাথে।


বিকাল বেলায় খেলতাম মোরা
হরেক রকমের খেলা,
খেলতে খেলতে কাটিয়ে দিতাম
সারা বিকাল বেলা।


সন্ধ্যা হলে কেরোসিনের আলোয়
পড়তে বসতাম মোরা,
ডায়েরির পড়া শেষ হওয়া পর্যন্ত
'মা' দিত হাজারো যাতনা।


পড়াশেষে রাতের খাবার
খেতাম আমি অল্প,
দাদীর কাছে শুনতে যেতাম
ভূত-পেত্নীর গল্প।


গল্প শুনতে শুনতে আমি
কখন যে পড়তাম ঘুমিয়ে,
সারারাত্রি কাঁটতো কিভাবে
সেকথা বলিবো কেমনে।


একেকটা দিন চলতো আমার
একই রকম ভাবে।
হাসি আনন্দে কাঁটাতাম দিনগুলি
সবাই মিলে একসাথে।


কোটি টাকার বিনিময়েও যদি
দিনগুলি পেতাম ফিরে,
তাহলেও ফিরতাম আমি
সোনালী সেই দিনে।