রন্ধ্রপতিত এক জাগতিক সমীকরণে
জমাট বাঁধে অন্নসংকটের শব্দহীন ব্যাকরণ,
নৈঃশব্দ্যের স্তব্ধতার গর্ভে—
নির্বাসিত হয় প্রজ্ঞার ভূরিভোজ, নিঃস্ব কল্পবিস্তারে।
হৃদয়-স্রোতে গাঁথা থাকে ঋণপত্রিক আত্মসংবরণ,
আলোর সঞ্চারবিন্দুতে নির্বিচারে খসে পড়ে
আত্মসমর্পিত স্বপ্নের ভ্রষ্টপিণ্ড—
নম্র নক্ষত্রের কণিকায় পুঞ্জীভূত প্রান্তিক বেঁচে থাকা।
সামাজিক অভিধানে দারিদ্র্য এক বর্জনীয় রূপক—
যার সংজ্ঞা আঁকা হয় রাষ্ট্রীয় মুখোশের জ্যোতির্বিদ্যায়।
শাসকের প্রহসনে বিলীন প্রতিসংহার,
আশ্রয়হীন ইচ্ছেগুলি ভেসে চলে নীতির নিষ্ক্রিয় নদীতে।
অক্ষমতার সংহতিতে জমে ওঠে বঞ্চনার সুরধ্বনি—
আলোকপ্রাপ্ত প্রতিশ্রুতির কণ্ঠরোধে চাপা পড়ে
স্বরহীন প্রার্থনার হাহাকার।
জীবন সেখানে এক কন্টকময় হাইড্রোগ্লিফ,
যার পাঠোদ্ধার অসমাপ্ত, প্রতিটি ক্ষুধারত রেখায়।
অমোচনীয় এই দ্রোহ, নয় কোনো আদিখ্যেতা—
এ এক অপরাহ্নে বিসর্জিত অন্তঃশিলা,
যেখানে প্রতিটি মানুষ এক অনুচ্চারিত সংকেত,
আর দারিদ্র্য— এক দীর্ঘস্থায়ী, পাষাণপ্রস্তর প্রমাণ্যনামা।
=========