ইজেক্ট করলে বাঁচতে পারতেন — হ্যাঁ,
বোতামটা ঠিক সামনেই ছিল,
কিন্তু তৌকির ফিরলেন না…
কারণ তিনি জানতেন, আকাশ ফাঁকা হলে
নিচের স্কুলটা আর বাঁচবে না।
একটি পুরনো F-7,
যার বয়স স্বাধীনতার সমান,
যেটার ইঞ্জিন আজ গর্জে না — কাঁদে।
তবু রাষ্ট্র বলে, “উড়াও”
কারণ দুর্নীতি এখন পাখা মেলে ওড়ে।
তৌকির মরে যাননি সেদিন,
তিনি তো মরে গিয়েছিলেন আগেই —
যেদিন বাজেটের টেবিলে
তার প্লেনের পেছনে বরাদ্দ ছিল
শুধু এক কাপ চা আর কর্পোরেট হাসি।
তিনি মারা যাননি আকাশে,
মারা গিয়েছিলেন সেই রাতে
যেদিন চুক্তির কলমে লেখা হলো —
“পুরনো প্লেনও চলবে, মানুষ না চললেই হলো।”
তৌকির জানতেন —
তার মৃত্যুর পরেও কেউ বলবে,
“দুর্ঘটনা।”
কিন্তু এই মৃত্যু নয়, এই খুন।
এই রাষ্ট্রীয় অবহেলার পোড়া ছাইয়ে
পড়ে আছে একজন সন্তানের স্কুল ডায়েরি।
আজ তৌকির একা নয়,
তার সাথে মরে গেছে
একটি শ্রেণিকক্ষ, কয়েকটি স্বপ্ন,
আর কিছু মা, যারা জানেনা
কাকে অভিশাপ দেবে — রাষ্ট্রকে, না নিজ ভাগ্যকে?
তৌকির ফিরে এলে আকাশ কাঁদত,
কারণ আকাশ জানে —
কে ছিল সত্যিকারের সৈনিক,
আর কে ছিল টেবিলের পেছনে লুকানো ঘাতক।
তৌকির কোনো গর্ব চাননি,
তিনি চেয়েছিলেন শুধু দায়িত্বপালন,
কিন্তু আমরা দিলাম তাকে —
একটি অগ্নিদগ্ধ শিরোনাম, কিছু ফুল,
আর প্রতিবারের মত একটাই বাক্য —
"আমরা দুঃখিত।"
© মোহাম্মদ শেখ শাহিনুর রহমান
(২১ শে জুলাই ২০২৫)
লেখক নিবন্ধন নম্বর: 6383805489940
এই সাহিত্যকর্মটি বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরে নিবন্ধিত।
লেখকের লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে এর যেকোনো অংশ ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয়।
সৃজনশীলতাকে সম্মান করুন।
#কাব্য