কোন এক প্রর্থনায় আমি ঈশ্বরকে বলেছিলাম,
তুমি আমায় টাকা দাও,
সুখ আমি কিনে নিব।
হয়তো ঈশ্বর আমায় বলেছিলেন, ভেবে দেখো।
আমি বলেছিলাম, যা হবে দেখা যাবে।
ওসব আমি সামলে নিব।
ঈশ্বর শুনলেন আমার কথা।
টাকার জন্য আমি উপযুক্ত হতে থাকলাম,
আঁকতে থাকলাম
ভবিষ্যৎ সুখের চিত্রকর্ম।
টাকা আসা শুরু হলো,
ব্যস্ততা শুরু হলো!
আপন পর হলো,টাকা আপন হলো।
জীবন থেকে মুছে গেলো সত্যিকারের ভালবাসা, সত্যিকারের সম্পর্ক।
দেনা-পাওনার সম্পর্কে আমি -
হাসতে ভুলে গেলাম,
নিজের কাছে ফেরার পথ ভুলে গেলাম।
পথ ভুলে বড় আজব এক পৃথিবীতে চলে এলাম।
এখানে কেউ কারো আপেক্ষায় থাকেনা।
এদের গল্পে প্রেম থাকলেও,
বাস্তবে থাকেনা।
এখানে মানুষ প্রাণ খুলে হাসেনা,
কারো জীবন কিংবা মৃত্যু এদের প্রভাবিত করেনা।
এখানে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক, কোন চলন্ত ট্রেনের কামরায় বসে থাকা যাত্রীদের মতো।
এদের মধ্যে হিংসা- বিদ্বেষ কত শত!
এরা বেশ-ভূষায় যতটা নজরকাড়া,
ততোটাই বিকৃত এদের মন।
স্বার্থের প্রয়োজনে এরা,
রূপ পাল্টাতে পারে-
যখন-তখন!
আমি নিজের দিকে তাকালাম,চোখ জোড়া বন্ধ করে প্রশ্ন করলাম,  
তবে কি আমিও......?
উত্তরে শুনলাম, এতে অবাক হবার কি আছে?
তুমিও তো এখন তাদেরই মতো।