আমায় গেথে দাও-একটা ফুলের মালা,
সে মালাতেও মিটিবেনা-ভাই হারা এই জ্বালা।
সেই সকালে মিছিলেতে-গিয়েছে যে তারা,
আছি আজও অপেক্ষাতে-আসিবে ফিরে ওরা।
অপেক্ষাতেই থেকে আজ-লাল হইলো কৃষ্ণচূরা।
তবুও যে ফিরিয়া-আসিলো না তারা।
করুন দুঃখের খবর দিলো-গাছের সেই পাখিরা।
তাদেরকে বাছতে দেয়নি যারা-নিষ্ঠুর ঘাতক ওরা।
সেই মিছিলে ভাষা রক্ষায় শহিদ হলেন তাঁরা।
তাইতো আমি ফুল হাতে আজ,দিবো তাদের সারা।
ফুল হাতে তাই শ্রদ্ধা জানাই-এই দিনে যে মোরা।
শ্রদ্ধা জানাই,শ্রদ্ধা জানাই-মােরা তাদের শ্রদ্ধা জানাই।
যারা ভাষা দেয়নি-দিয়েছে রক্ত।


হে বঙ্গনবীন,
তুমি জানাে কি সেই গদ্য?
ফাগুন মাসে লাগলাে আগুন বাংলা মায়ের গায়,
সেই আগুনে থমকে উঠলো-দামাল ছেলেরায়।
চমকে উঠলাে মায়ের বুক-দমকে উঠলাে ছেলে,
এমন আগুন কেমন করে-নিবাইবে সেই ছেলে।
অবশেষে আগুন নিবাই-তাজা রক্ত ঢেলে।
দিনটি ছিল ফাগুন মাসের-কৃষ্ণচূড়া লাল।
হঠাত করে ভেঙ্গে গেল-বাংলা ছেলের ঢাল।
তবুও তো পায়নি ভয়-বাংলা ছেলের বুকে,
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে-মোদের রেখেছে সুখে।
হানাদার সেই বাহিনীরা-
বাংলা মায়ের ভাষা নিতে চাই কেড়ে।
বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে-দেয়নি ভাষা ছেড়ে।


বায়ান্নের সেই গাদ্য শুনে-
বঙ্গ শিশুর মনে মনে,
প্রশ্ন জাগে ক্ষনে ক্ষনে;
সেই ছেলেরা কোথায়?
মাগাে মা,তােমার সেই ছেলেরা কোথায়?
যাদের জন্য ফিরে পেলাম-তােমার এই ভাষা।
সেই ভাষায় পাখি গাই গান,
পাগল করে পাখির সেই গানে।
বলোনা মা বলো,তারা আজ কোথায়?
ফেব্রুয়ারী এলেই আমার-মন কেঁপে উঠে।
মনে হয় এলাে বুঝি-সেই আন্দোলন;
"রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই-মায়ের ভাষা বাংলা চাই।"
সেই ভাষাই বলি আমি-আমার মনের কথা,
বলোনা মা,বলো তারা আজ কোথায়?
রফিক,শফিক,সালাম,বরকত তাদেরই হবে জয়!