যেখানেই থাকো রাত্রি বসেই থাকে
ঈষৎ বেগুনী তোমার রজনী
তোমার গালে পড়া টোল হতে নির্গত রশ্মি থেকে
প্রতিবার ও অনন্তর একটি অবয়ব মুক্ত হয়
ভেঙ্গে যায় মদের গ্লাস, তারকালোক আলোকিত হয়ে ওঠে
তোমার ছায়া হয় তোমার রাত্রি
একটুকরো রূপকথার ভূমিতে আমরা একইরূপ স্বপ্ন দেখতে পাই

তোমার ঈষৎ বেগুনী রাত্রে
কোন পান্থ নই আমি, নই কোন অধিষ্ঠাতা
আমিই সে, একদিন যে আমিই ছিলাম
যখনই তোমাকে ঘিরে ধরে গাঢ় যামিনীর অন্ধকার
মনে হয় দুটি ধাপে হৃৎপিণ্ড বিন্যস্ত
না সেটা স্ব-স্বীকৃত, না আত্মা মেনে নেয়
তবে আমাদের দেহে স্বর্গ ও পৃথিবীর আলিঙ্গন ঘটে
তোমার সবকিছু তোমার রাত্রি … জ্যোতিষ্ক-কালির দীপ্তিমান রাত্রি


রাত্রিকে দেয়া রাত্রির মুচলেকা -
অনুভূতিহীন শিয়ালের নিদ্রা আমার দেহে হামাগুড়ি দেয়
রহস্য ছিটিয়ে দেয়া রজনী আমার বাকপ্রতিমা উদ্ভাসিত করে
যখনই সেটা স্বচ্ছ হয়ে পড়ে
প্রথমেই আগামীকালের প্রতি খুব বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি
আপন সুরক্ষায় রাত্রির অপলক দৃষ্টিপাত ও অনন্তহীতনার মাঝে প্রবোধ


আরশিতে সে-সবের প্রতিবিম্ব ছাড়া কিছুই উদযাপিত হয় না
কামাসক্তে পীড়িত রাজ-রাজড়াদের গ্রীষ্মকালীন যাপনে
প্রাচীন রাখালিয়া গীতবিতান ছাড়া
ইমরুল কায়েস ও অন্য কারো বাতিকগ্রস্থ জাহেলী কবিতায় আন্দোলিত রাত্রি ছাড়া
এবং দূরদর্শী বাকপটুতায় সৃষ্ট চাঁদের প্রতি ক্ষুধার্ত স্বপ্নবিলাসীদের জন্য
দুধে ধোঁয়া প্রশস্ত পথ ছাড়া  …


(ফিলিস্তিনের কবি মাহমুদ দারবিশের কবিতার ইংরেজি অনুবাদ “Your Night Is of Lilac” অবলম্বনে)


ফিরোজ, দিলকুশা, ০৭/০২/২০২০