তীক্ষ্ণ তলোয়ারের মতো চিতল মাছের পেট ।
তাই দেখে রুই মাছের হলো আস্ত মুড়ো হেঁট ।
অধিক তাকে আঘাত করে বোয়াল তদ্দণ্ড ।
মুড়ােও যাবে ! মুগের ডালে রাঁধবে মুড়িঘন্ট !
শুনেই শোলের ভয় ধরে যায়, ডুব দেয় সে জলে ।
জলের বুকে বুগবুগি দেয় খলসেটা খলবলে ।
ট্যাংড়া বলে টেরটা পাবি রাঁধলেই চচ্চড়ি ।
খলসে পুঁটি বাঙালিদের পছন্দ সম্বচ্ছরই ।
জড়াও কেন আমাকে ভাই ? পুঁটি চমকে ওঠে ।
দাঁড়া এবং ঝুঁটি সমেত চিংড়িগুলো ছোটে ।
মাছের বংশে জন্ম তো নয়, নাম জুটেছে মাছ ।
চিংড়ি বলা মাত্র কন্যা উনোনে দেয় আঁচ ।
ইলিশ বলে আমার কোনো মন্তব্যই নাই ।
আগুন পানি একই কথা__ বরফ চালান যাই ।
মৃগেল নদীর মৃদঙ্গে দেয় ল্যাজের জোরে ঘা ।
হেঁটে উঠছে কৈ শিঙ্গি, জ্যান্ত ধরে খা ।।


(কাব্যগ্রন্থঃ সবুজ নীল লাল জামা । প্রকাশকালঃ একুশের বইমেলা ২০০৪ । প্রকাশকঃ অন্যপ্রকাশ।)