মেটাভার্স আর কাব্যের জগতের সম্বন্ধ
- সঞ্জয় কর্মকার
(লেখাটি আলোচনা বিভাগে প্রকাশ দিয়েছিলাম কিন্তু একটা কবিতা লেখাতে থাকার জন্য এটি ওখানে মুছে কবিতা বিভাগে প্রকাশ দিলাম যাতে অনেকে তা পাঠ করতে পারে)


মেটাভার্স আর কাব্যের জগতের সম্বন্ধ কী হতে পারে? কাব্যসত্তা তো মেটাভার্সে গেলে শেষ হবার নয় আর সেই কাব্যসত্তা নিয়ে মেটাভার্সে গেলে তো যতসব বিখ্যাত কবি যেমন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আমার প্রিয় মাইকেল মধুসূদন দত্ত বা সেক্সপিয়ার, শেলি, কিটস এমন সব ব্যক্তিত্বের সাথে সময় কাটাবার, সাহিত্য চর্চা করবার ইচ্ছে মনে জাগ্রত হতে বাধ্য। আমার লেখা বিভিন্ন কবিতা তাদের কেমন লাগলো শুনাতে পারবো বা কী করে আরও উন্নত লেখা যায় তার সূত্র তাদের থেকে নিতে পারবো।


আজগুবি গালগপ্প নয়। মেটাভার্স সেই দুনিয়া যাকে বলা হচ্ছে ভার্চুয়াল ইউনিভার্স বা মেটাভার্স। চোখে আর কানে কিছু যন্ত্র লাগিয়েই সেই মেটাভার্সে যাওয়া সম্ভব আর সেখানে সব কিছুই থাকবে জীবন্ত আকারে। তাকে স্পর্শ করা যাবে, তার সাথে পাশে বসে গল্পগুজব করা যাবে বা খেলকুদ ও করা যাবে। আর যাকে চাওয়া যাবে তাকেই পাওয়া যাবে।  ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। বাণিজ্যিক ভাবে আসতে এক দুই বছর সময় লাগতে পারে, তার বেশি কিছু নয়।


মেটাভার্স এসে গেলে আশা রাখি সেইসব ব্যক্তিত্ব্যের সান্নিধ্যে আসতে পারলে সাহিত্যের মান আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে কবিকূল। সাহিত্যের জগতে দিগন্ত খুলে যেতে পারে , বিপ্লব এনে দিতে পারে মেটাভার্স।


মেটাভার্স


আর কী ভায়া চিন্তা কিসের দুইটি লোকে রবো
যতই চ্যচাও পান্তা ফতুর জানেন সে বাত রব ও।
একটি লোকে কামাই টাকা
ফুঁক ঝাড়ে কই; ওই তো ঢাকা,
আরেক লোকে রসের হাঁড়ি, যা চাবো তাই পাবো।


আর তো দূরে নয় তো সেদিন নাচছি আমি তাক ধিনা ধিন
জাদুর প্রদীপ আলাদিনের আসলো আজি সেদিন সুদিন;
মাগো আমি তোমার কোলে
ফিরবো আমি বোতাম ঠেলে,
এক ছুটে মা খেয়েই খাবার, মাগো তোমার শুধবো ঋণ।


দুষ্টুমি আর করবো নাকো আসলে পরেই জাদুর সাঁকো
দিন দুনিয়ার আজব দানে, মিথ্যে ও মা একটু নাকো।
ভুলের দেশে সেদিন ও মা
আর হবে নি আনা-গোনা,
মিস্টি তুমি তোমার দেশে, ভালোবাসায় জড়িয়ে রেখো।