গভীর রাতে বারবার দরজায় নক্ করি,
মিলে না সাড়া মৃদু কান্নায় ঘর ভরি।
দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় সারা মিলবে নিশ্চয়,
কাঁপতে থাকি ঠান্ডায়, মাঘের হিমেল বয়।
কুঠিরের ধারে অবু থুবু দিয়ে বসে থাকি,
কই এখনো মিলল না,সাড়া সালাম দিয়ে দেখি।
শেষবারের মতো নক্ করি সাড়ার আশায়,
উত্তরে বলে, পুরুষ নাই আমার বাসায়।
এত গভীর রাতে কে তুমি? শুধায় রমণী,
দরজা খুলতে পারবো না স্বামীর কথা মানি।
এই দেশের রাজা, নগণ্য আমি আর কেউ নয়,
এত রাতে তোমার ঘরে কান্নার শব্দ কেন হয়?
অশ্রুভরা চোখে রমণী বলে করুন স্বরে বাবা,
তিন দিন হল ঘরে ভাত নাই ,খোঁজ নেয় কেবা।
শিশুরা কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে হয়েছে বিভোর,
উনুনে হাঁড়িতে ফোটায় জল দুখে বুক ফাটে মোর।
হৃদয় ভরা বেদনা নিয়ে রাজা প্রসাদে ছুটে,
বস্তা ভরা আটা নিয়ে হাজির রমণীর গেটে।
হে স্রষ্টা! ক্ষমা কর জানিনা এই রমণী এত দুখী,
আমায় যা দেয়ালে দিলাম, তুমি কর রমনীরে সুখী।