পুরানো বছর তার দীর্ঘদিনের জীর্নময়,
ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত রাত্রিকে দিয়েছে বিদায়,
মানবতাময় জীবনের অন্বেষণের জন্য
নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানায়।
নতুন রূপে সাজিয়েছে ওরা স্বপ্নের প্রদীপ
যার বহিঃশিখার স্বল্প কিন্তু উষ্ণ উত্তাপে,
উত্তপ্ত হবে তাদের অসম্পূর্ণ,অস্পষ্ট স্বপ্ন
আর স্বপ্ন বাস্তবতা পাবে তার স্বল্প ভাপে।
খুশির জয়গানে আত্মহারা আমরা সবাই
নতুন হোক কিংবা পুরানো বস্ত্র পরিধান করে,
হিংসার হিংস্র রূপ আজ থেকে দিয়েছি মুছে
মানবতা বেঁচে থাকুক বাংলার ঘরে ঘরে।
চিরসবুজ বসন্ত আবার নিয়েছে বিদায়
গ্রীষ্মের আগমনের শুভেচ্ছা জানিয়ে,
বিস্তৃত মাঠের বা নদীর ধারের দুরন্ত হাওয়ায়
উড়াচ্ছি কাগজের বা পেপারের ঘুড়ি বানিয়ে।
আলোকসন্ধানী প্রতিটি মানুষ প্রচন্ড উষ্ণতায়
খুঁজে শুধু পিপাসা,তৃষ্ণা নিবারণের আশায়,
কখনও বা কোনো ক্লান্ত, ক্ষুব্ধ পথিক
আশ্রয় নেয় বট কিংবা বৃক্ষের ছায়ায়।
সন্ধ্যাবেলা কালো হয়ে আসা ঘন মেঘপুঞ্জ
ঝড়ের মতো ধুলোর সাথে বন্ধুত্ব পাতায়,
প্রানপন ছুটে ঘরে ফিরে, জানালা দিয়ে দেখি,
ঈশ্বরের আরাধনা কালবৈশাখীর বিশৃঙ্খলতায়।
অসহনীয় সূর্যতাপে চিরে যায় মায়ের বুক
শুরু হয় বন্যা, খরা আরও কত কি যে আছে!
তবুও সমস্ত গ্লানি,দুঃখ,কষ্টকে আনন্দ দিয়ে মুছে
বৈশাখির মতো নানা উৎসবে বাঙালির হৃদয় নাচে।
বিবর্ন পাতায় ভরা সবুজ গ্রামে বইছে শান্ত বাতাস
শহরে তখন বৈশাখীর ভ্যাপসা আর বিতৃষ্ণা উষ্ণতা
গ্রামের হাতপাখা তো ঐ মাথা দোলানো গাছগুলো,
শহরে সবসময় ঘুরছে ছাদের নীচের সিলিং পাখা।