তোমরা আমার দূর্গ্গা কে দেখেছো ?
দেখছো তোমরা ওকে ?
সেই কাশবনে কাশফুল তুলতে গিয়েছিল
এখনও ফেরেনি।
সন্ধ্যে হয়ে এলো এদিকে
ও রাত্রি'কে খুব ভয় পায়।
ও রহিম ভাইয়া, ও শঙ্কর দাদা
তোমরা চুপ করে আছো কেন ?
দেখেছো আমার দূগ্গাকে ?
ও বলেছিল, ও সন্ধ্যের আগেই ঘরে ফিরবে
এখনও তো ফিরলো না।
তোমরা চুপ করে আছো কেন ?
আমার দূর্গা কোথায় ?
তোমরা কাঁদছো কেন, রহিম ভাইয়া
শঙ্কর দা, তোমাদের চোখে জল ?
কি বলছো, কাশবনে অসুর থাকে ?
না না হতে পারে না।
আমার দূগ্গার কিচ্ছু হবে না।
ঐ দূরে ......
ও কে , কাশবন থেকে ছুটে আসছে মনে হল ?
ওদের পেছনে ঐ ছেঁড়া পোশাকে মেয়েটা কে ?
আমার দূর্গা, মনে হচ্ছে !
সত্যি তো ! আমার দূর্গা বটে।
ঐ তো তোমাদের অসুরকে তাড়িয়ে ধরেছে ও
টুটি চেপে ধরেছে ওর।
এখুনি বধ করবে ওর।
কার বাড়িতে শঙ্খধ্বনি বাজছে ?
সন্ধ্যে জ্বালিয়েছে বোধ হয়।
আমার দূর্গার দশটি হাত দেখা যাচ্ছে।
প্রতিটি হাতে আমি দেখতে পাচ্ছি
আত্মসম্মানের সাহসিকতার চিহ্ন.....
তোমরা দেখতে পাচ্ছ কি ?
আমি দেখতে পাচ্ছি,
আমার দূর্গার তেজস্বী চোখে বিদ্যুতের ঝলক
প্রতিটি নিশ্বাসে প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি।।
রহিম ভাইয়া, শঙ্কর দাদা,
তোমরা আর চিন্তা করো না গো
মনে রেখো, এবার শুধু শরৎ আর বসন্তে নয়,
সব ঋতুতেই দূর্গা আসবে।
প্রতিটি ঘরে দূর্গা থাকবে।