চাঁদে বসে সুখ বোতামটা টিপে
দেখেছি আমি এক পৃথিবী সুখ,
জলরাশির ঢেউ এর তালে তালে
নাচছে সুখে হাজার প্রাণীর মুখ।
ঝর্ণা হয়ে নামছে নাচের তালে
বরফ চূড়া ঢাকছে সোনা রোদ,
হরিণ শিশু খেলছে সবুজ বনে
চির হরিৎ দুলছে দোদুল দোল।


চাঁদে বসে দুখ বোতামটা টিপে
দেখেছি আমি এক পৃথিবী দুখ,
লাগামছাড়া অত‍্যাচারের ফলে
অশ্রুসজল নিপীড়িতের চোখ।
মানুষ মারার অস্ত্র আবিস্কারে
ক্ষমতার ঐ হিংস্র কুটিল বোধ,
অর্ধ দক্ষ ডিজিটালের ফাঁদে
লুণ্ঠিত সব সাধারণের ধন।


ভবিষ‍্যতের বোতাম দিয়েছি টিপে
দেখতে পৃথিবীর ভবিষ্যতের রূপ,
দাঁড়িয়ে আছি হাজার রোবট সাথে
নেই তো তাদের চিত্তে কোনও সুখ।
মানব সৃষ্ট উষ্ণায়নের ফাঁদে
পৃথিবী একটি উষ্ণ জলাশয়,
রোবটরা সব চলে এসেছে চাঁদে
প্রাণী জগৎ অতীত অধ‍্যায়।


আরো কিছু বোতাম ছিল সেথায়
হাত দিইনি ভয়েই কাঁপে মন,
পাততাড়ি টা গুটিয়ে নিয়ে চাঁদে
ধরেছি আমি জন্মভূমির পথ।
স্নেহের পরশ দেবার অপেক্ষাতে
ফুলের তোরণ বাঁধছে জনগণ,
এটাই আমার নিজের মাতৃভূমি
রক্ষা করাই আমার জীবন পণ।


কবিতাটি শ্রদ্ধেয় কবি শ্রীযুক্ত প্রণব মজুমদারকে উৎসর্গ করলাম, ওনার লেখা "জার্নি টু ৩০২২(১)" কবিতাটি পাঠে অনুপ্রাণিত হয়ে এই কবিতাটি লেখার জন‍্য।