“রক্তপিণ্ডের ছোট্ট প্রাণ”
মা!
যিনি পরম স্নেহ আর মমতায় তার মাতৃগর্ভে;
বড় করে দশমাস দশদিন ধরিত্রীর আলো দেখাবে বলে।
ধরিত্রীতে আঁখি যখন মেলে একটি ছোট্ট প্রাণ;
সেদিন থেকে নিজের মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত “মা”-
নিজে শত কষ্ট সহ্য করে আগলে রাখে।
……………………
মা! মা গো! তুমি এতো হৃদয়হীনা আর পাষাণ নাই বা হতে আমারি সাথে!
কেন তোমার মাতৃগর্ভ থেকে ধরিত্রীর আলো দেখালে না?
জানো আমি কে?
আমি তোমার মাতৃগর্ভে থাকা রক্তপিণ্ডের ছোট্ট প্রাণ ছিলাম!
তখনো আমার আঁখি, হাত-পা কিছুই হয়নি আমার।
সেই অবস্থায় তুমি আমায় একটু একটু করে;
কষ্ট দিয়ে মেরে ফেললে আমায়।
জানো মা! আমার কষ্ট হয়েছিল খুব সেই কয়েকটা দিন।
যদি নাই ভালবাসবে আমায়;
তবে কেন মাতৃগর্ভে স্থান দিয়েছিলে?
আমায় না হয় ধরিত্রীতে নিয়ে এসে;
অন্য হৃদয়হীনা মাদের মতো ডাস্টবিনে ফেলে দিতে!
তাহলে তো তোমায় কোন না কোন একদিন খুঁজে নিতাম;
আর পেলে তোমায় জড়িয়ে বলতাম-
মা! মা গো! আমি তোমারি সন্তান।
দেখো আজ কত বড় হয়ে গিয়েছি রক্তপিণ্ডের সেই ছোট্ট প্রাণটি!
মন খারাপ করো না “মা”-
নাই দিলে তোমার স্নেহ, মমতা আর ভালবাসা!
আমি আকাশ থেকে তোমায় জড়িয়ে রেখে;
ভালবেসে যাবো তোমায়।
ধরিত্রীর “মা” দের বলছি;
মাতৃগর্ভের রক্তপিণ্ডের ছোট্ট প্রাণকে দিয়ো না এতো যন্ত্রণা-
ধরিত্রীর আলোর দেখবার আগেই।