টিকটিক করে ঘড়ির কাঁটা রাত্তির মুছে দিচ্ছে
ভোর বাতাসে এখনও শিশির ভেজা সুবাস
জোনাকির কলতানে বসন্তের মর্মর ধ্বনি শোনা যায়।


ভোরের কুয়াশা মাখছে শিমুল পলাশ ফুল
সকাল সন্ধ্যায় এখন ঠাণ্ডা বাতাসের স্পন্দন
শিবরাত্রি পেরিয়ে দোল উৎসব তারপর ঠাণ্ডার বিদায়।


কিন্তু দিনের কড়া রোদ্দুরে মাথার চাঁদি যেন ফেটে যায়
অনাগত চৈত্রের পদধ্বনি শুনছি বাতাসের তপ্ততায় –
বৃষ্টি হীনতায় ভুগছে মাঠের সবজি ফসল সবই।


মন্দিরে বাজছে কাঁসর ঘণ্টা, মসজিদে আজানের ধ্বনি
গ্রামের মেঠো পথ বেঁকে বেঁকে মিশে গেছে দিগন্তে -
গরু নিয়ে মাঠে যায় রাখাল বালক থেকে কৃষক সব্বাই।


সূর্য অস্ত যাচ্ছে গোধূলির আঁধারকে সঙ্গে নিয়েই –
দিকে দিকে জ্বলে উঠছে টিমটিমে মোমবাতির মত আলো
মাঝ রাত্তিরের নিশুতি অন্ধকার গিলে খায় জোনাকির দল।


      ********


রচনাকাল – ১৩/০৩/২০২১