জলদস্যুদের মত ছুটে বেড়াই সারা রাত্তির
সাগরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে পর্যন্ত ...
রাত্তির ফালাফালা করে দেখি অচেনার খোঁজে।


রাতের পর রাত জাগতে জাগতে হয়ে গেছি পাপিষ্ঠ
বজরা, ময়ূরপঙ্খী থেকে কেড়ে নিই ধনীদের সম্পদ
কিন্তু কজন খোঁজ রাখে জলদস্যুর কান্নার ইতিকথা!


জীবনটা কখনই রঙমশালে পরিপূর্ণ নয়
দুঃখ, যন্ত্রণা, লাঞ্ছনা সহ্য করতে করতে হয়ে গেছি অমানুষ
ভেতরের নরম হৃদয়টা মরে গেছে নীরবে ...


জলদস্যুর মত রাত্তিরটাও দেখতে পাই দিনের আলোর মত
ধনীদের সম্পদ কেড়ে নিতে একটুও বিবেকে বাধে না
যাদের জন্যে অতিসাধারণ মানুষ হয়েযায় হিংস্র জলদস্যু।


অমাবস্যার ঘোর অন্ধকারেও দুচোখ জ্বলে ওঠে বারংবার
লুঠের মাল বিলিয়ে দিই গরীব জনতার মাঝে –
আবার হারিয়ে যাই রাতের অন্ধকারে নিজের মনুষ্যত্বকে বিসর্জন দিয়ে।


সাগরের জলে ভাসতে ভাসতে হারিয়ে যায় শৈশব
সুখ শান্তি বলে কিছুই নেই এই অসহায় জীবনে
জলদস্যুর চোখে জল মানায় না, ওসব অতীত অন্ধকার!


       ********