আজও দাঁড়িয়ে আছে গলির বাঁকে
হাড় জিরজিরে কালো মেয়েটা
প্রায়ই চোখাচোখি হয়
কথা হয়না কিছুই...
কেউ কেউ বিদ্রূপ করে
ভ্রূক্ষেপ হীন কালো মেয়ে -
শরীরে এখনো ফোটেনি
সমস্ত যৌবন রেখা।
জানি তোর জন্যে
রাজপুত্তুর আসবে না
নদীর বাঁকের মতো
তস্য গলি পেরিয়ে
ভাঙাচোরা এক বাড়িতে থাকে
মা মেয়েতে।
বাবুর বাড়িতে কাজ করে
তার বিধবা মা
বাবার ছিল শ্বাসের ব্যেমো
এক শীতের রাতে কাশতে কাশতে
বাপটাও চলে গেল ...
মাযের তখন ভরা যৌবন
বস্তির ছোঁড়ারা হায়নার মতো তাকায়
মেয়ে হয়েছে বাপটার মতো
যেন কয়লার ভেতর জন্ম
তেমনি শরীরের গড়ন
হাড়ের উপর চামড়া লাগানো
কে বিয়ে করবে তোকে
উদোম গালি দেয় মা
বস্তির ছোঁড়ারা সিটি মারে
কতক্ষণ আগলে রাখবে -
সুযোগ পেলেই শেয়াল কুকুর ছিঁড়ে খাবে
কয়েকদিন দেখলাম গলির মুখটা ফাঁকা
হঠাৎ খবর পেলাম
বস্তির পেছনে একটা ডোবায়
হাড় জিরজিরে এক কালো মেয়ের
লাশ ভাসছে
শরীরের পোশাক ছিন্নভিন্ন
সারা শরীরে চাপ চাপ রক্ত
এতো রক্ত ছিল কোথায়
ঐ হাড় জিরজিরে শরীরে...


       ******