কে তুমি চাও?নয় বছরের অহিউল্লাহর কথা শুনতে
রক্তকমল ছেলেটা নবাবপুর রোডে সেদিন গিয়েছিল ভাষার মিছিল দেখতে
সাধের পাকিস্তান,তোমার জলপাই রঙের জিপ থেকে আচমকা গুলি
ভাষার কাগজ চিবুতে থাকা ছেলেটার উড়ে গেল মাথার খুলি।
এই বয়সে খেলতে তুমি কাবাডি,কানামাছি কিংবা ডাংগুলি
নিষ্পাপ প্রাণ বিসর্জনে উপহার দিয়ে গেলে মাতৃভাষার বুলি।
রক্তমাখা বুকপকেটে ধরে রেখেছিলে জীবজন্তুর আঁকিবুঁকি
যুগ যুগ ধরে এই কর্বুর বীরপ্রতাপরাই,শত বাঙালির ধুক-ধুকি।
পড়েছিলে কি তুমি,বিপ্লবী ক্ষুদিরামের রক্তকুমুদ পাতা
তিন মুঠো খুদের বিনিময়ে,হস্তান্তর করেছিল
যার গর্ভধারিণী মাতা।
ষোল বছরের ক্ষুদিরামের জীবন যায়নি কখনো বৃথা
ইতিহাস আজ বাঁধিয়ে রেখেছে তাহার
বিপ্লবী জীবনকথা।
স্বাধীনতার তরে জীবন দিয়েছিল,হাসিমাখা মুখে
স্বাধীন দেশ দেখে যেতে পারেনি,দুঃখ ছিল চোখে।
ক্ষুদিরামকে হারিয়ে হয়ে গেলে তুমি কনিষ্ঠ বাঙালী বীর
তোমার মত শত অহিউল্লাহই বাঙালি হৃদয়ের অসি-বুলেট-তীর।
তোমায় শ্রদ্ধা সুগভীর,
হে প্রস্ফুটিত প্রসূন বীর।