ভূস্বর্গ হতে যে জ্বলন্ত অগ্নি
গলন্ত লাভা হয়ে
বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে


ভাসমান স্রোতে যদি
এ স্বত্তা , এ আত্মা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন , খন্ড-বিখন্ড হয়ে
সে অগ্নিবাণে নিক্ষিপ্ত হয়


সূদুর সীমান্তে থাকা কোনও
হীন সমাজ যদি ধ্বংসস্তূপ হয়ে পড়ে থাকে
বর্বরতার চূড়ান্ত সীমান্তে গিয়ে যদি
হিংস্র কোনও অভিশ্প্ত জীবন্ত লাশ-এ পরিণতি ঘটে


তবে দোষারোপ কে করবে?
কাকে করবে?


সুক্ষতা যেন এক অবাক বিষয় সেখানে
নিষ্ঠা যেন এক অন্ধকার জগতে হারিয়ে যাওয়া কোনও কালো অধ্যায়
সততার বোধগম্যতা নেই
বিচার ব্যবসহা নির্বোধের হাতে
মায়ার খেলা সেখানে এক ব্যব্সা যেন
ভালবাসা এক মদের পাত্রে বহমান জীবনধারা
নারী আর নারীর সমাগম~ আশেপাশে , আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা
এক অরুচিকর সস্তা স্বার্থপর আবেগ
এদের-ই মাঝে কেউ কেউ
ধর্মের বুলি আওড়ায়, নামাজে যেন গভীর একাগ্রতা
খোদার ক্ষমা লাভের মক্ষম উপায় মাত্র


বিস্ম্য়কর সেই সমাজব্যব্সহা
গভীরতায় ডুব দিতে যদি এতটাই কষ্ট
তবে নির্লজ্জের মত পিছু ফিরে আসা কেন?
কাপুরুষ হৃদয়ে রক্তহীন ধাঁরা যখন
বীরত্বের ছদ্মবেশ কেন?
অসম সহূল বিচরণ যখন পদে পদে
হাত বাড়িয়ে কাছে টানার স্পর্ধা কেন?


অপমান যেন এক অহরহ ঘটনা
পার্থিবতা যেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে
জ্বলন্ত লাভার স্রোতে সব আমূল
ধ্বংস , ভূপাতিত , নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বাধ্য


৬ই অক্টবার ২০১৫ , রাত  ৮ঃ৪৮