মেয়েটা চেয়েছিল শুধুই একটা মানুষ
নিজের মত একান্ত একার একটা মানুষ
যে প্রতিদিন তার বাঁকা হওয়ার টিপ টা ঠিক করে দিয়ে বলবে তুমি আজকাল বড্ড বেখেয়ালি হয়ে গেছো!
বলবে তোমার লিপস্টিকের রঙ টা আর একটু হালকা হলে আরো ভালো হতো,
চোখে কাজল আঁকতে গিয়ে চোখের ভিতর কাজল চলে গেলে দৌড়ে এসে চোখটা মুছে দিতে দিতে বলবে আর একটু ধীরে সুস্থে করতে পারো তো না কি!
সারাদিন ছাদের উপর বৃষ্টিতে ভিজে সন্ধ্যা বেলায় যখন খুব করে জ্বর আসবে তখন বিষন্ন একটা মুখ নিয়ে এসে কপালে হাত দিয়ে বলবে, আহা জ্বরে তো গা পুড়ে যাচ্ছে। তারপর কচু-ঘেঁচু মার্কা একটা ওষুধের শিশি হাতে নিয়ে এসে বলবে এমন করে কেউ বৃষ্টিতে ভিজে? কবে যে তুমি ছেলেমানুষি ছাড়বে বিধাতায় জানে!!


মেয়েটা চেয়েছিল শুধু একটা মানুষ
এখন তার চারপাশে হাজার মানুষ ঘুরে ফেরে
নানান রঙের নানান ঢঙের নানান সঙের মানুষ
দামি সেন্ট গায়ে মেখে সুট-কোট পরা ভদ্রলোক আসে
আসে গিলাকরা পাঞ্জাবিতে মাঝ বয়সি দাড়ি ওয়ালা,  
ছ‍্যেড়া কাটা জিন্স আর টি-শার্ট পরা ছেলে ছোকরা,
আসে সোন্ডা-গুন্ডা, পাতি নেতা, ভারী নেতা
নানান মানুষ রোজা আসে........,
যে যার মত দামে কিনে
ঠুকরে ঠুকরে মাংস খায়,
মেয়েটা শুধু বরফ হয়ে জমে থাকে
তবুও বুকের ভেতর সুখের মত কোথায় যেন ব্যাথা জাগে।
মানুষ টিক রোজ মিলে যায় মেয়েটার
হাজার মানুষ চারদিকে জনসভার মত
তবু মেয়েটা আজও একটা মানুষ খুঁজে
একান্ত নিজের একটা মানুষ।।