কার্তিকের বিকেলের গ্রাম, উজ্জ্বল  মাঠের প্রান্ত,
দেখেছি  ধান শালিক ধান খুঁটে খায়; আমি ক্লান্ত-
পথিক মাঠের দিকে চেয়ে থাকি শুধু
সোনালি ধানে প্লাবিত মাঠ করে ধুধু।
সোনার মতো সোনালী ধান যখন ঘরেতে আনে
সুখের প্লাবন ডাকে যেন কৃষাণীর প্রাণে প্রাণে,
কৃষাণের বুক ভরা আশা মাথায় ধানের বোঝা
সকালের সূর্য হাসি, কৃষাণীর মুখে যায় বুজা।
বৃষ্টিতে ভিজে রোদ্দুরে পুড়ে পুড়ে যে ধান ফলায়
সেই কষ্টের একটু মূল্য কি তারা আজকে পায়?


সাম্রাজ্যের উত্থানের নায়করা আজকে বিবর্ণ;
কোন এক নগরীর সভ্য মানুষের মুখে অন্ন-
তুলে দিতে যারা সদা ঝরাল বুকের রক্ত-ঘাম,
কয় জন মনে করি সেই সব বীরদের নাম?
বলি আমি হে কৃষাণ! মাঠের নায়ক তুমি ধন্য
তুমি বিনে জীবনের ঐ ষোলোকলা হয় কি পূর্ণ?
কঠিন কঠোর মাটি ভেদ করে তুমি ফলাও বিস্ময়
তুমি বিনে সংকল্পের সকল সময় শূন্য মনে হয়।
কেউ মনে করুক-নাই করুক; তোমার কি তাতে
এই সোনার বাংলায় সোনা ফলে তোমার হাতে।
দেশ মাটি মাতৃকার তুমি যেন প্রাণ
গেয়ে যাই তাই কৃষকের জয় গান।।