বইটির প্রথম পাতা বলতেই বেরিয়ে এলো
একটা সকাল
আগুন-পানি-বাতাস-মাটি,
দ্বিতীয় পাতাটি খুলতেই
পানির ভিতর ঘাস জন্মাতে জন্মাতে
মুসাফিরেরা সন্ন্যাসী হতে শিখে গেল
মাটির পুতুল শিখে গেল হাঁটতে
প্রতিদিন ক্ষয়ে যাওয়া চাকায় বৃষ্টি ঝরে
পাতায় পাতায় সালোকসংশ্লেষ হয় প্রোটোপ্লাজমের;
মাঝের পৃষ্ঠায়
পুড়া কাঠ, রুক্ষ শুষ্ক মাটি, বৃষ্টি, শূন্যতা-ঈশ্বর...
তার পরের পৃষ্ঠায়
গ্রীবায় ঘুমিয়ে যায় একটা দুপুর  
মাটিতে পড়ে তির্যক ছায়া;
বইটির শেষ পৃষ্ঠার কাছে এসেই
আকাশ নগ্ন পায়ে হেটে যায় দিগন্তের কাছে।


বইটি সর্বদা গোধূলির সময় বন্ধই ছিল
তাই আজও জানা যায় নি
জীবনের কোন সংজ্ঞা হয় কিনা
মৃত্যুর হলেও হতে পারে...