-মেঘ বালিকা ও মেঘ বালিকা
যাচ্ছ কোথায় উড়ে?
একটু দাঁড়াও
শুনে তো যাও
কেন তুমি উড়তেই থাক
আকাশের ওই চূড়ে?


-ডাকছ কেন সময় নেই তো
বৃষ্টি হয়ে ঝরতে হবে
তেপান্তরের মাঠে,
আমায় আবার যেতে হবে
খেয়া নদীর ঘাটে।


-আচ্ছা মেঘ বালিকা তোমার
রংটা এত ধূসর কেন?
সাদা কালোর মাঝে,
কেন তুমি উড়তে থাক
সকাল দুপুর সাঁঝে?


-ওমা এ আবার কেমন কথা
আমার তো ভাই সাদা কালো
ধূসর রংটাই লাগে ভালো;
নীল আকাশের স্নেহ মায়ায়
দুরন্ত ঐ মাতাল হাওয়ায়
উড়ায় তাই ঘুরি আমি
বলতে পারো পাগলামি।


-আচ্ছা মেঘ বালিকা
সমুদ্র তোমায় ডাকে কেন?
কেন তুমি বারে বারে
সমুদ্রের ওই কাছেতে যাও
সমুদ্র কি তোমার ছেলে
আদর দিয়ে গায়ে মাখাও?


-তাও আবার জানো না বুঝি?
সমুদ্র যে আমার মা’ ঝি
জোয়ার জাগা চন্দ্র মামার
সেই থেকে জন্ম আমার।


-আচ্ছা আমি যাই এখন
সময় নেই তো
বলব কথা পরে তখন।


-আচ্ছা যাচ্ছ যাও
মাঝে মাঝে ফিরে তাকাও
আমার কথা মনে করে
বর্ষা শেষে এসো ফিরে,
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
ঘাসফুলেতে পরো ঝরে।