তখন আমি হাইস্কুলেতে পড়ি
হেথায় হোথায় ঘুরে বেড়াই পাড়া মাথায় করি;
বিকেলে যেই খেলতে যেতাম খেলার মাঠের পরে
তুমি তখন থাকতে মাঠের পাশের বাড়ির ঘরে,
জানলা দিয়ে তাকিয়ে যেন  
আকাশ কুসুম ভাবতে হেন
আমার দিকে চেয়ে থেকে মুচকি মুচকি হাসতে
কিছু কিছু বুঝতে পারি আমায় ভালো বাসতে,
এমনি করে ধীরে ধীরে কাছে তে যে এসে
মিশে গেলে প্রাণে প্রাণে আমায় ভালো বেসে।
তার পরে তে দিন যতই যায়
মন যে আমার কী যেন চায়
ইস্কুলেতে যাইনি তবুও মাঠে মাঠে ঘুরি
রাত্রি বেলা পড়তে বসে অংকে যে ভুল করি
আয়না দেখে যেই না আমি তোমার কথা ভাবি
আপনা আপনি ভেসে উঠে তোমার মুখের ছবি,
এমনি করে বছর ঘুরে কয়েক বছর পরে
হঠাৎ শুনি বাদ্য বাজে তোমাদের ওই ঘরে
এগিয়ে গিয়ে শুনতে পেলাম তোমার নাকি বিয়ে
বর এসেছে লাল টুক টুকু পাগড়ি মাথায় দিয়ে;
বাড়িতে এসে কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজে যায়
কি ভাবে যে থাকব আমি তোমায় ছাড়া হায়
তোমার কথা ক্ষণে ক্ষণে মনে পরে যখন
মনের ভিতর দুঃখ পুষে বসে যে থাকি তখন।
দেখতে দেখতে সময় চলে কত বছর গেল
পুরোনো সব বদলে এখন নতুন কত এলো
আমি এখন ত্রিশ পেরিয়ে মাঝ বয়সীর দলে
স্মৃতি গুলো তাজা থাকে সময় যায় যে চলে
শুনছি তুমি এখন নাকি তিন বাচ্চার মা
অতীত এখন মনে করা তোমার সাজে না
আমি এখন ভালই আছি তুমিও আছ বেশ
স্মৃতি গুলো অতীত হলো আছে শুধু রেশ।