রক্ত গোধূলির রঙে বিকেল যাচ্ছিল সরে সরে
পশ্চিমের জ্যোৎস্নায় চুপটি করে বসেছিল সন্ধ্যা।
এত আলো এত আয়োজন,
হাজার মানুষের লোকারণ্য
তবু যেন আমি একা
তোমার সাথে সেই যে শেষ দেখা;
সেই একটি বারই তুমি এসেছিলে
হাঁসের অভিমানের মত
পাতলা ছায়া এসে পড়ে যেমন পুকুরের জলে।।


তারপর তোমাকে সাজানো হলো
পরনে লাল পেড়ে বেনারসীর শাড়ি,
বাতাসে শিউলি ফুলের গন্ধেই মাতাল হৃদয়
সাদা গাড়ি সাজানো লাল গোলাপ ফুলে
তুমি ধীর পদে উঠে গেলে
একটিবার তাকিয়ে ছিলে শুধু
শব্দের চোখে যেমন কুয়াশা ধূসর প্রতিচ্ছবি।
আমি শুধু আকাশের দিকে যেন তাকিয়ে ছিলাম,
আকাশের অধিক এক আকাশের দিকেই
আমার নিস্তব্ধ দৃষ্টি;
সেকেন্ডে সেকেন্ডে সময় শেষ হয়ে যাচ্ছিল
তোমার মুখশ্রী হারাচ্ছিল যোজন যোজন দূরে  
তোমার সাথে সেই তো শেষ দেখা।।


তারপর একদিন একদিন করে
কত কত একদিন চলে গেল;
এখন সব সাজানো
শুধু নতুন দিনের আলোর প্রস্তুতি অভ্যন্তরে,
আমিও যে বদলে গেছি অনেক
তোমার জন্য কবিতা লিখি না
জোছনা রাতে গান গাই না।।


সবই তো ঠিকই চলছে
তবু আজ এতদিন পরে
স্মৃতিরা যেন মাঝে মাঝেই ফিরে আসে,
যেন সেই একই সন্ধ্যার বেলা
যেন সেই একই জানালা খোলা।।


অভাব তো কিছু নেই!
সন্তান, সংসার, কবিতার ঘরবাড়ি;
তবু আজ ভাবনার কোনে
কেন যে ভীষণ এত ফাঁকা,
আমি পুড়ি স্মৃতির আগুনে
খালি চোখে শুধু কিছুই যায়না দেখা।।