আজ বুঝি তাই মুক্তিই পেল
আশুর মায়ের প্রাণ;
লেপা হয় নাই, মোছা হয় নাই-
ফাটিয়াছে এ উঠান।
তারি একপাশে ঘরের ছায়েতে
আশুর মায়ের দেহ;
বাস্তু ভিটার আম-কাঁঠালেরা
দুলে দুলে দেয় স্নেহ।


খোল-করতাল নিয়ে চলে আসে
গ্রামের নামের দল;
দেহটির পাশে হরিনাম করে
দেখিয়া মানুষে ঢল।
খোলের আওয়াজে সব লোক আসে
একা একা বলে কথা;
প্রাণের দোসর বন্ধু সকল
পেয়েছে বেজায় ব্যথা।


বেলা বেশি হয়, রোদ্দুর ওঠে
দেহ যাবে ও শ্মশানে;
আর দেরি নয়, হরি হরি বোল-
সমস্বরে সেইখানে।
শেষযাত্রায় সবে মিলে যায়
আশুও দিয়েছে কাঁধ;
কতনা আচার, কত উপচার
যার যেটা ছিল সাধ।


** পরবর্তী অংশ আগামীকাল।