ছন্দ ও কবিতার পাঠ –<পর্ব-৬, ভাগ-৫৯> – ছন্দের আকৃতি বা রূপভেদ    
---ড. সুজিতকুমার বিশ্বাস  
-------------------------------------------------------------------------------
আজকের পাঠ – গদ্য কবিতার ছন্দ  
------------------------------------------------------------------------------
আজকের পাঠ উৎসর্গ করা হল - আসরের প্রিয়কবি সুমিত্র দত্তরায়  মহাশয়কে।              
------------------------------------------------------------------------------
অক্ষরবৃত্ত রীতিতে রচিত, মিত্রাক্ষরহীন যে কবিতা সাধারণ গদ্যের চালে সৃষ্ট কিন্তু সেই গদ্যে পদ্যের রং ধরানো হয় ছেদের মাধ্যমে, যাতে পর্ব নির্মিত হয় ও বিষমপর্বে চরণ গঠিত হয়, তাকে বলে গদ্য কবিতা। এই ছন্দের স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই কবিতা জন্মগত ভাবেই মুক্ত কবিতা।


বৈশিষ্ট্যঃ
• মিত্রাক্ষরহীন;
• গদ্য কবিতার পর্ব তৈরি হয় ভাব যতি ও ছেদের মধ্য দিয়ে;
• ভাবপ্রকাশ মূল কথা;
• চরণ বিষম পর্বে;
• অক্ষরবৃত্ত ছন্দের উপর প্রতিষ্ঠিত
• ভাষা সহজ গদ্যের মতো সাদা মাঠা;
• তরে, সনে, মোর প্রভৃতি শব্দ এখানে বর্জিত;
• এর মধ্যে আছে একটা অস্প ষ্ট ধ্বনি ঝংকার।
বর্তমানে এই ছন্দে সর্বাধিক কবিতা লেখা হচ্ছে।
যেম ন -
"পাজীর পা-ঝাড়াদের আগে যারা কুর্ণিশ করত
এখন তারাই পিস্তল ভরছে।
শুধু ভাঙা শেকলগুলো এক জায়গায় জুটে
এই দিনকে রাত করবার কড়ারে।
ডলারে ফলার পাকাবার
ষড়যন্ত্র আঁটছে।"
  --- সুভাষ মুখোপাধ্যায়।


***আজ এই পর্যন্ত। তবে চলবে।
------------------------------------------------------------------------------
সূত্র/ ঋণস্বীকার- ২) বাংলা ছন্দের সহজপাঠ- সত্রাজিত গোস্বামী
----------------------------------------------------------------------------
আসরের কবিদের কাছে আমার অনুরোধঃ এই আলোচিত পর্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে নীচে সযত্নে উল্লেখ করবেন। তাছাড়া কোনো গঠনমূলক মতামত থাকলে আন্তরিকভাবে জানাবেন।