ছন্দ ও কবিতার পাঠ –<পর্ব-৮, ভাগ-৭৪> – কবিতার নানান ধারা
---ড. সুজিতকুমার বিশ্বাস  
-------------------------------------------------------------------------------
আজকের পাঠ – আখ্যান কাব্য
------------------------------------------------------------------------------
আজকের পাঠ উৎসর্গ করা হল - আসরের প্রিয়কবি জ্যোতির্ময় রায় মহাশয়কে।          
------------------------------------------------------------------------------
আখ্যান কাব্য
'আখ্যান' শব্দের অর্থ মিত আয়তন কাহিনি বা গল্প। কোনো আখ্যায়িকা বা আখ্যান বস্তুকে অবলম্বন করে যখন কোনো কাব্য রচিত হয় তখন তাকে আখ্যায়িকা কাব্য বা আখ্যানকাব্য  বলে চিহ্নিত করা হয়। এই জাতীয় কাব্যে একটি কাহিনি আনুপূর্বিক বর্ণিত হয়। মহাকাব্যের মতো এই ধরণের কাব্যে সূচনা, মধ্যভাগ. এবং পরিণতি (Begining, Middle and Ending) থাকে। বিভিন্ন ব্যক্তির জীবন ও সংলাপের মধ্য দিয়ে. গড়ে ওঠে এই শ্রেণির কাব্য। তবে এই জাতীয় কাব্যে  কাহিনি বা ঘটনাই মুখ্য ভূমিকা নেয়।
সুতরাং বোঝা যাচ্ছে আখ্যান কাব্য, মহাকাব্য ও গাথাকাব্য থেকে অনেকটাই পৃথক। এই ধরনের কাব্যের বৈশিষ্ট্য হল যে এখানে মহাকাব্যের মতো রূপ ও রীতির কঠিন নিয়ম থাকে না। এখানে শুধু কাহিনির উপস্থাপনা করতে হয়। বিষয়বস্তুর একমুখীনতা এই ধরনের কাব্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কাহিনির প্রয়োজনে আখ্যান কাব্যে অনেক চরিত্রের পরিকল্পনা করা হয়।
ভার্জিলের 'ইনিড' ওভিদের 'মেটামরফিসেস' অতীত কালের দুটি প্রসিদ্ধ আখ্যান কাব্য।
বাংলায় লেখা বেশ কিছু আখ্যান কাব্য হলঃ
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন –বড়ু চণ্ডীদাস
মঙ্গল কাব্য - মনসামঙ্গল ,ধর্মমঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল।
শ্রীরাম পাঁচালি—কৃত্তিবাস ওঝা
মহাভারত - কাশিরাম দাস। ইত্যাদি।


**সংযোজিত হবে।
***আজ এই পর্যন্ত। তবে চলবে।
------------------------------------------------------------------------------
সূত্র/ ঋণস্বীকার- ১) সাহিত্যের রূপ-রীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ– কুন্তল চট্টোপাধ্যায়
                    ২) কাব্যের রূপ ও রীতি- ড তাপস অধিকারী।
----------------------------------------------------------------------------
আসরের কবিদের কাছে আমার অনুরোধঃ এই আলোচিত পর্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে নীচে সযত্নে উল্লেখ করবেন। তাছাড়া কোনো গঠনমূলক মতামত থাকলে আন্তরিকভাবে জানাবেন।