সুফিয়া মমতাজ (কাব্যগ্রন্থ) : ২০ (০১/১১/২০১৮) অংশের পর-


               ।।২১।। আমরা চারজন
মানিজা যখন বছর তিনেক আমরা তিনটি জন;
আমরা দুজনে কাজের দেশেতে কর্মব্যস্ত মন।
তাই বুঝি ভাবি আমাদের শেষে মেয়ে বুঝি একাএকা!
ভাই, বোন হোক আর এক শিশু যাবে বুঝি আজ রাখা।
ব্যস্ত সময়ে এক সন্তান বেড়ে ওঠা মুশকিল
দৌড়ঝাঁপ মাঝে আমরাও ভাবি স্বপ্ন যে অনাবিল।
আমরা তো আর সারাটি জীবন থাকব না ডানা মেলে-
এক বোন আছে, আর এক চাই, হোক মেয়ে-ছেলে!


তুমিও সেদিন সম্মতি দিলে আপত্তি নেই মোটে,
আমাদের সুখে নতুন স্বপন দুয়ারেতে এসে জোটে।
তখন তোমার হাসি ভরা মুখ নবীন জীবনে তুমি-
তোমার গর্ভে বাড়ছে মানিশ তুমি তার প্রিয়ভূমি
কতই কষ্টে কাজের দেশেতে ছুটেছে তোমার মন
তোমার হৃদয়ে জমা হতে থাকে নবীন নিমন্ত্রণ।
আমরা দুজনে একসাথে থাকি তোমায় রেখেছি খেয়াল;
কিছুদিন পরে আসিল ঘরেতে আমার নবীর দুলাল।


সেই খুশি নিয়ে মানিশ আসিল আমাদের সুখ জয়ে-
ভাইবোনে ওরা এই সংসারে থাক আজ নির্ভয়ে।
বিপদে আপদে মনের কথাটি বলিবে দুখানি মন;
সেই ভাবনায় আমাদের মাঝে বুঝিয়েছে প্রিয়জন।
তোমার মাঝেতে অনেক কথায় অনেক ভাবনা ছিল
তুমিও বলেছ নীরব সুরেতে হৃদয় ঝঙ্কারিল।
তখন আমরা চারজন হই একাকী সুখের ঘর;
মোটর বাইকে হবেনা যে আর, চারচাকা দরকার।


অর্থের সাথে স্বচ্ছলতায় জীবনে দিয়েছি নজর
সম্পদ সাথে সম্ভাবনার পেয়েছি নতুন খবর।
অন্য কিছুর অভাব ছিল না আজকে দুঃখ মেঘ;
খুশি সংসারে নেমে এল বুঝি চিরায়ত সে আবেগ!
মানুষ যা ভাবে হয় বুঝি তার ভাবনার বিপরীত
নির্মম রূপে পরিহাসে আজ সকল স্বপ্নাতীত।
বাকি জীবনের এ রোজনামচা লেখা শুধু হাহুতাশ!
শোক-দুঃখ সাথে মিলন আমার পিরিতি বারোটি মাস।
            -----------
** চলবে।