একটি বই ছিল যা ওজনে এক জীবন ভার,
দুই পাতা মোড়কে ছিল তিনটি পাতা তার,
রঙ্গীন মোড়কে নাম লেখা ছিল শিক্ষার উপহার,
জাতীর কাছে নাম ছিল তার জীবনের দিবাকর,


প্রথম পাতা রচনায় শেষ হয়েছিল কলমের কালি,
সেই পাতাটি হয়ে গিয়েছিল জীবন ফুলের মালি,
মধ্য পাতায় কালি ফুরিয়ে ব্যবহৃত হল তুলি,
রক্ত দিয়ে আঁকা হয়েছিল জীবনের ভুলগুলি,


শেষ পাতায় ভালোবাসা ছাড়া ছিলোনা কিছু বাকি,
বই রচনার ইতি হয়েছিল তার মায়ের ছবি এঁকে,
শেষে বই মাতা বহাল ছিল হয়ে উজ্জ্বল জোনাকি,
তার সাথেই জুড়ে রইলো মোড়কের অংশ বাকি,


প্রকৃতির নির্মমতায় হারিয়ে প্রধান মোড়ক,
বইটির প্রথম পাতায় সরাসরি পরে যায় চোখ,
ধুলোয় জীর্ণ হয়েছে ক্ষুন্ন সমস্ত বইয়ের সুখ,
পাঠক মহলে বর্জিত হয়ে ডাকিয়া আনিছে দুখ,


ধিক্কার আর ভর্ৎসনা সয়ে বিপাকে মধ্য পাতা,
করতে রক্ষা বইয়ের সম্মান খুলেছে নতুন খাতা,
বাঁচাতে চেয়েছে বাকি মোড়ক আর শেষের পাতা,
ফেরাতে বইয়ের সম্ভ্রম জমায়েছে অনেক কথা,


আজ বইখানা বর্জিত দায়ে প্রথম পাতার কারন,
বাকি পাতাগুলো বিমর্ষ কাঁদে বিভৎস বর্তমান,
প্রার্থনা এই প্রথম পাতার হোক মোড়কে উন্মোচন,
অধিষ্ঠিত হোক মোড়কের জায়গা করে প্রতিস্থাপন।


-(২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮)