যৌবনের বড়াই
- উজ্জ্বল সরদার।
---------------------------------------
মালিনী গেল প্রসূন তুলতে কাননের দ্বারে,
বসন্ত ভূপতি তা দেখে বলে তুই কে রে?
এতো নির্ভীক হলি কেমনে ওরে বৃদ্ধ মালী?
না বলে কেন তুই আমার রাজ্যে এলি?
মালিনী তখন কেঁদে - কেঁদে কয় ",
প্রভু এবারের মতো ক্ষমা করো আমায়,
পেটের জ্বালা বড়ো জ্বালা এসেছি তাই -দায়।


এই শুনে রাজা উঠল ক্ষেঁপে,
বলে,  ফুল ফুটিয়েছে তোর বাপে?
রাজ্যে কোন বৃদ্ধ থাকবেনা,
জীর্ণ তনুর সুগন্ধে আমার পেট ভরে না ।
কি আর করবো বলেন হে প্রভু ?
সময় থাকেনা যে কারো জন্য থেমে,
বয়স হয়েছে, ডাকছে মোরে জমে।
এই শুনে নরপতি চেঁচিয়ে বলে "এই বুড়ি আমার
মুখের উপর বলিস কথা ",
আঁখি মেলে আমার রাজ্যের দিকে তুই একবার
তাকা।


এই শুনে বৃদ্ধ মালী লুটিয়ে পড়লো রাজার
চরণে,
করুণা করো ওগো করুণাময়,
মোর্ দেহান্ত হবে তবে বনে।
অহংকারী নৃপতি শোনে কি আর কারো কথা ,
বিদায় করে দিলো বুড়ির ,
লাথি মেরে ফাটালো মাথা।
কিন্তু, বসন্ত ভূপতির বয়স হয়েছে আজ,
কথাও খেয়াল করতে পারে'না পরেছে সে
বৃদ্ধের সাজ,
এমন সময় এলো গ্রিষ্ম রাজ,
তার অনুচর ভাঙলো বৃদ্ধ বসন্তের সকল সাজ।
লাথি মেরে বের করে অবশেষে রাজ্যে দিল
দ্বার,
অহং ভাঙলো বসন্তের,
যৌবনের শক্তি নাই আর।


উজ্জ্বল সরদার
দাকোপ - খুলনা।
------------★--------------