দোদুল্যমানতায় বারংবার ওই একটা প্রশ্নের
জবাব হাতড়িয়েছে আমার কৌতুহলী চোখ।
নিজের হৃৎপিণ্ডের ব্যবচ্ছেদ নিজেই
করেছে দ্বিধাগ্রস্ত দশটি আঙুল।
প্রতিটি প্রকোষ্ঠে তন্নতন্ন করে খুঁজে ফিরেছে
একটা সহজ উত্তর...


যেখানে থরে থরে গচ্ছিত আছে তোমার
পললায়ীত প্রেমের সহস্র স্তবক।
খুঁজে দেখা হয়েছে বাম ও ডান অলিন্দের
প্রতিটি মোলায়েম ভাঁজ।
যেখানে পরিশুদ্ধ রক্তের প্রতিটি কণিকায়
মিশে আছে তোমার অঘোষিত প্রেমের
জীবন্ত পাণ্ডুলিপি।


ফরেনসিক ল্যাবেও স্বতন্ত্র ভাবে নিরীক্ষা
করা হয়েছে নিরাভরণ প্রতিটি তন্ত্র।
যার প্রত্যেকটিতেই তোমার উপস্থিতি বিদ্যমান।


শ্লথ হয়ে গেছে হৃৎপিণ্ডের গতি।
পাল্মোনারী আর্টারীর ঠিক গোড়াতেই জমে
আছে ছোপ ছোপ রক্ত।
ধারালো নখের আঁচড়ে ছিন্নভিন্ন বহিরাবরণ।
তাতে স্পষ্ট বসে আছে তোমার মরণকামড়ের
আঠারোটি ক্ষতচিহ্ন।


আজও স্টোমাকের দেয়ালে দেয়ালে টানানো
তোমার অবিকৃত ভাস্কর্য।
ডিওডেনামের ওপারেই রয়ে গেলে সহস্র বছর।
নিঃসৃত হাজারটা জারক রসেও তোমাকে
হজম করাতে পারে নি আমার
রোগাক্রান্ত পেনক্রিয়াস।


অদ্যাবধি আমার স্নায়ুতন্ত্রে তোমার অবাধ বিচরণ।
পিটুইটারিতে বসে আজও নিয়ন্ত্রণ করো
আমার উত্তেজনা ও অবসাদ।
আমার হরমনে তুমি, আমার নিউরনে তুমি,
আমার রক্তে রন্ধ্রে শিরা ও ধমনিতে বয়ে বেরাচ্ছি
অভিন্ন তোমার অস্তিত্ব, অথচ...
অথচ অস্তিত্বহীন ওই একটি প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই
আজ অকার্যকর আমার সংবেদনশীল রেটিনা......


আমি কি তোমার প্রেমিক ছিলাম, নাকি বন্ধু?
বন্ধু ছিলাম, নাকি প্রেমিক?
-------+++++------