উৎসর্গঃ সদ্য প্রয়াত বীরপ্রতীক তারামন বিবি স্মরণে।
******************************
উনিশ শত সাতান্ন সালে জন্মিল এক মহীয়সী নারী,
উত্তর বঙ্গ কুড়িগ্রামের রাজিব পুরে সেই রমণীর বাড়ি।
ছোটবেলা থেকে ভীষণ সাহসী অনেক উদার মন,
সকলের প্রিয় আস্থাভাজন, নাম তার তারামন।
মুক্তিযুদ্ধ চলে সারাদেশে তারামন শুধু কাঁদে,
দেশের নিদানে কি আছে দেবার,তাহার বিবেকে বাঁধে।
বেসামাল দেশ,কতজন মরে, যুদ্ধ দামামা বাজে,
যোগ দিল "তারা" মুক্তিযোদ্ধার রান্না করার কাজে।
কোথা হানাদার লুকায়িত থাকে গোপনে করিয়া খোঁজ,
মুক্তিযোদ্ধার ক্যাম্পে আসিয়া বলে দেয় "তারা" রোজ।
বয়স চৌদ্দ চটুল কিশোরী, কি সাহস কচি বুকে,
যুদ্ধের সাজে সজ্জিতা আজ,কে আছে তাহারে রুখে?
সমুখ সমরে লড়ার মানসে ঘর হতে হল বার,
নিজের জীবন তুচ্ছ করিয়া মারে কত হানাদার।
দক্ষ সেনানী কৌশলে লড়ে,ধারে নাতো কারো ধার,
কত না বাহবা, তাজ্জব সবে সাহস দেখিয়া তার।
পরাজিত হানাদার, নয় মাস পরে যুদ্ধ করিয়া শেষ,
লাল সবুজের নিশান উড়ায়ে স্বাধীন হইলো দেশ।
তিয়াত্তরে জাতি বীরপ্রতীকের খেতাবে ভূষিত করে,
ক্ষণজন্মা এই মহীয়সীগণ জন্মে না বারেবারে।
ডিসম্বরের পহেলা তারিখ নিশুতি রাতের ক্ষণ,
সকলে কাঁদায়ে পরপারে গেল, আমাদের " তারামন"।
ইহলোক ত্যাগী চলে গেল বীর,মোদেরে রাখিয়া ঋণে,
আল্লাহ মহান ক্ষমা কর তাঁরে শেষ বিচারের দিনে।
---------+++++++++--------