স্মরণীয় একাত্তর,
পরাধীনতার ঘুচলো আঁধার, ফুটলো নতুন ভোর।
যখন আমার শ্রমিক পিতার জীবন বৃথা,
পায় না ঘামের দাম,
পায় না মূল্য বাজার তুল্য, বেচলে গায়ের চাম।
শিক্ষিত ভাই পায় না চাকরি,
জোর করে খায় পালের বকরি,
হত্যা করে মানবতা পায়ের তলায় পিষে।
অসম বন্টন করেছে লুণ্ঠন,
অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দুঃশাসনের বিষে।
কৃষক ভাইয়ের সোনার ফসল বেচতে গেলে হয় না আসল,
আধেক থেকেও কম।
এক প্রজাতির ল্যাংড়া শকুন,
মাথায় বসে গিলতো উকুন,পাকিস্তানি জম।


ঠিক তখনই,
দরাজ গলায় বলল মুজিব,
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,
এই হলো সেই মার্চ।
ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে শক্ত হাতে যুদ্ধ করে,
বাঁচার মত বাঁচ্।
হায়েনারা সব মারলো মানুষ বৃদ্ধ- শিশু নির্বিশেষ,
আস্তাকুঁড়ে লাশের পাহাড়, রক্তগঙ্গায় ভাসলো দেশ।
বাবার হাতে স্টেনগান, ভাইয়ের মাথায় গুলি,
দেশের তরে জীবনবাজি, মরতে হলে তাতেও রাজি,
যুদ্ধ করে উড়িয়ে দিল পাকসেনাদের খুলি।
লক্ষ মায়ের সতীত্ব লুট, বীরাঙ্গনা বোন,
স্বাধীনতার সেই ইতিহাস হৃদয় দিয়ে শোন্....
----------+++++++-----------