ধরেছিলাম সাধুর বেশ
ছোট ছেলে করল শেষ
ধরে ফেলে আমি হাবা,
জনতার মারে ছাড়লাম দেশ।


বিদেশ নামের একটি দেশে
হাসি খেলায় পাগল বেশে,
যাচ্ছিল দিন খুব আনন্দে-
নেংটু ছেলেদের দলে মিশে।


বাচ্চা কাচ্চা ওরা সবাই
লাজ শরমের বালাই তো নাই,
লজ্জা আমায় ধরল ঝেকে
বেদের মেয়েটা দেখল তাকাই।


কিগো! বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না নাকি?
অমন করে যেওনা দেখি,
পাগল আমি নই দুচ্ছাই!
কি করে দেই ঐ চোখকে ফাঁকি।


কোথা হতে এক ভক্ত এসে
‘পাগলা বাবা’ বলল হেসে,
ওরই হাতে লাঠি  ছিল-
তাতেই প্যাদানি দিলাম কষে।


ততক্ষণে বেদেনীর দল
পুঁটলি হতে দিয়েছে ফল,
বলে ‘বাবা গ্রহণ করো’
জ্যোৎস্না দিল মুখে আঁচল।


সুযোগ পেলে কায়দা করে
ক্ষপটি করে জ্যোৎস্নারে ধরে,
মা খালাদের ফাঁকি দিয়ে
চিকন পথে যাবো সরে।


ততক্ষণে কাচ্চা-বাচ্চা নেংটুর দল
কেড়ে নিল হাতের ফল,
উহঃ একি জ্বালা! শ্বাশুরিগণ
ধাওয়া দিল, বুঝল না ছল।


আমি তখন জ্যোৎস্নারে নিয়ে
ক্ষেত পাতালে ভো-দৌড় দিয়ে,
পালিয়ে এলাম অনেক দূরে,
ওরা কেবলি দেখল চেয়ে।


এমন খোলা সুযোগ পেয়ে
জ্যোৎস্না আমি নেচে গেয়ে,
জানাই দাওয়াত বন্ধু তোমায়-
কাল আমাদের হচ্ছে বিয়ে।


মজার লোকটি ছিলাম আমি
এখন হতে জ্যোৎস্নার স্বামী,
ভণ্ডামি আর করিনা এখন
হয়েছি সকলের শুভকামী।
তবু, কভু-
যদি কর গোমড়া মুখটি
আবার হবো মজার লোকটি।