সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় সেজেছি মোরা বেশ
সর্বময় বিরাজমান ঋতুর খেয়াল রেশ।


কচি কচি শাখে ভরি শত সহস্র পত্রের বাহার
কেউবা দেখে মনোমুগ্ধ কেউবা করে আহার।


ধরনী সাজায় রুপে গন্ধে আর ফুলদারে
উর্মিমালা আছড়িয়া পড়ে বহমান নদী-কিনারে।


নদীর জলনালি সাগরের তরে চলিয়া যায় দুরে
কুলকুল রবে ছুটিয়া চলে ছলাত ছলাত সুরে।


কিচিরমিচির সুরে বাজে পাখ-পাখালির গান
মনটা সবার জুড়িয়ে দেয় ফুলের সুমিষ্ট ঘ্রান।


কিরন এসে আলোকিত করে ধরনীর সকল প্রাণ
মেঘমালা ঝিরিঝিরি ঝরে প্রকৃতিকে করায় স্নান।


প্রকৃতিজ বিস্তারে অবদান পতঙ্গ ও ভ্রমর এসে
মধু পানে ও পরাগায়নে তারা ফুটন্ত ফুলে বসে।


পশু পাখি বনরাজ্যের ভারসাম্য সর্বদা বজায় রাখে
সম্পদে সমৃদ্ধ আছে প্রকৃতির বাঁকে বাঁকে।


বিশুদ্ধ বায়ু, নির্মল জল প্রকৃতির অবদান
প্রাণীজগত তৃপ্তি ভরে জুড়ায় তাদের প্রাণ।


বৃক্ষশাখে কচি পাতা জীবের করে জীবন দান
অক্সিজেন-কার্বন ডাইঅক্সাইড খেলায় প্রকৃতি মহীয়ান।


সৃষ্টিকর্তার মহান খেয়ালে পৃথিবীর এই আকৃতি
রুপ-রসে-স্বাদে-গন্ধে অপরুপ রুপের এই প্রকৃতি।