ফরিয়াদ কেন যে করি,
কার কাছে করি, কিসের জন্য করি?
ফরিয়াদ করতে হয় সেই সৃষ্টি কর্তার কাছে!
তবে কেন করি!
সৃষ্টি কর্তারই সৃষ্টির মানুষের কাছে?


তোমার দু:খ ঘুচাবার নেই যে কেহ!
কেবলই পারে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা!!!
এই দুনিয়াতে ফরিয়াদ শোনার..
এমন কি কবুলের আর্তনাদ শোনার নাই যে দ্বিতীয় কেহ;


অনেকাংশেই দেখা যায় বিনা কারণেই..
করি আমরা বিলাপ! কেন করি?
কার কাছে করি?
কিসের জন্য করি?


ফরিয়াদ কি?
এই অভিযোগের অর্থ কি?
কেহ কি শোনে এই ফরিয়াদ?
যাকে বলি সে কে?
কোন মানুষের কল্যাণে কি আসতে পারে?


কল্যাণ করার ক্ষমতা কার আছে!
সে কি কোন মানুষ হবে?
না অন্য কিছু (জীব-জন্তু)?
আল্লাহর হুকুম ছাড়া কি একটি গাছের পাতা নড়ে?


না নড়তেই পারে না!
মানুষ কি পারে?
আমরা হুকুম মানি কার?
কে আমাদের পরিচালনা করেন?


কিভাবে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি?
কোথা হতে পাই?
কিভাবে পাই?
খাবার পানি কি ভাবে পাই?


এই পানি কি কিনে খাই?
সাধারণ মানুষ আমরা অর্থ কি আছে ক্রয় করার?
এই পানি তো সেই বিধাতার দেওয়া;
যা না কি মানুষের কল্যাণেই;


যার অপর নাম যে জীবন!
আকাশ-বাতাস-নদী-নালা-খাল-বিল;
চন্দ্র-সূর্য্-নক্ষত্র-তারা, গ্রহ-মন্ডলি;
পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, ঝড়-বৃষ্টি,


আরো অন্যান্য অনেক কিছুই..
সবই আল্লাহর সৃষ্টি!!
যা কিছু সবই মানুষের কল্যাণেই।
আমরা মানুষ হবো, মানুষের মত!


শুকুরিয়া আদায় করবো যে জীবনে;
কোন কিছুই চাইবো না অপর জন..
আমারই মতন একজন মানুষের কাছে।
শুধুই ফরিয়াদ করবো সেই বিধাতা!


যে আমাকে করেছে সৃষ্টি,
দিয়েছে সুন্দর মানব জীবন দান;
এ এক অপরুপ সৃষ্টি।
পৃথিবীতে যা কিছু কল্যাণ কর;


সকল কল্যাণেই রয়েছে আল্লাহর মঙ্গল।
আর যেজন আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ যদি করে..
বারা—বারি হবেই তো যে সর্বন্যাস তারই জীবনে!
এ কি জীবন মানুষের?


যতই করি বাহাদুরী; হতে পারি কি?
স্বার্থক জীবন সেখানেই যেখানে কল্যাণের..
ডাকি  এবং ফরিয়াদ করি সেই আল্লাহর দরবারে।
করি যদি একাগ্রোচিত্তে; ভুল হবে না শর্ত দিয়ে;


তবে কেন কবুল হবে না?
কি কবুল হবে না?
কেন কবুল হবে না?
কবুল কি হতেই হবে?


ভুলে ভরা জীবন নিয়ে করতে চাইলে ফরিয়াদ!
ধৈর্য ধরতে হবে; নিতে হবে সময়!
মানুষের জীবনে কোন দিন—ই—কষ্ট বলতে কিছু নাই;
তৈরি না করলে কষ্টের কাজ!


এক মানুষ অন্যায় ভাবে দেয় কষ্ট অপর জনকে..
সেই কষ্টই তো চাপা—খোব ও কান্না;
বিনা  দোষে দোষারফ করলে,
ঘর-বাড়ি ছাড়া করলে;


ইজ্জতের প্রশ্ন জন্মালে;
অসহায় হয়ে ফরিয়াদ করলে,
বিতারিতের সেই এক নিষ্ঠ চাওয়ায়
কবুল হবে যে সেই ফরিয়াদ।
ফরিয়াদ হবে এক মাত্র আল্লাহর দরবারে;


হবে না এক মানুষ অপর মানুষের কাছে।
তাহলেই স্বার্থক হবে মানব জীবনের;
আল্লাহ্ তার বান্দাকে বলেন এসো আমার বান্দা,
দেখি তুমি কি চাও আমার কাছে?


চেয়ে নিতে কি ভাবে কর আবেদন?
তোমার চাওয়া-পাওয়ার জোর যে কত?
চাওয়ার মত চাইলে আমি আল্লাহ্ কেন দিবো না?
যদি চাওয়াতে কর ছল—চাতুরী; অবসাদ মন-প্রাণে;


না পাওয়াতে কর উপহাস,
এ কি করলে তোমায় জীবনে?
করলে যে জীবনের অনেক বড় ক্ষতি।
কে ক্ষমা চায় মানুষই তো;


আজ পর্যন্ত আমরা শুনেছি কি?
কোন জীব-জন্তু ও অন্যান্য কিছু চেয়েছে ক্ষমা?
চাইনি কিছু কেহ;
যাদের আছে কথা-বলার শক্তি ও সামর্থ!


তারাই তো করে ভুল আর তারই ফল;
পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পেরেও অনুতপ্তেই ফরিয়াদ,
যা হবে মাত্রই এক আল্লাহর দরবারেই।
মাপ করে দাও দয়াময় আমাকে!


দাও না ক্ষমা করে!
ইবাদত বন্দেগী করবো, করবো ভাল কাজ,
নিজেকে গড়ে তুলতে চাইবো শক্তি ও মন বল।
কেবলই বিধাতা হতে পেতে..
কল্প-রাজ্যে গাইবো গুন ও গান।
এরই নাম ফরিয়াদ!!


      ==***==
      ==***==


বাণী : এক নিষ্ঠ চাওয়া ও পাওয়ার জন্যে বিধাতার কাছে নিরবে ফরিয়াদে অবশ্যই প্রাপ্তি লাভ হয়।