(১) স্বর্গের হুর
একদিন মেঠো চাঁদকে বলি তুমি আমার প্রিয়াকে একটু আলো দাও
চাঁদ বলে, সে আলো আমার নেই।
প্রিয়া তুমি বসে বসে বৃহস্পতির নীলিমা গায়ে মাখ।
আমি একটি ছবি পৃথিবীর দ্বারে দ্বারে সাজিয়ে দেব-
পৃথিবীর বোনেরা তোমার মাথায় হিতা কাটবে।
সূর্য-সাগরে কোন অস্ত গেলে যে লালিমা দেখা যায় তা তোমাকে 'সুরে সুরে' ডাকবে।
আমি স্বর্গ থেকে অনামিকা হুরকে ডেকে এনে তোমাতে জল ঢালাব।
স্বর্গের শেষ স্তরে তুমি যে 'ফারাও' রানী হয়ে বসে থাকবে।
(২) একটি ভাল কবিতা
একটি ভাল কবিতা লেখার প্রত্যাশা বহুদিনের-
যে কবিতা গোলাপের সৌরভ হয়ে আমাকে স্নিগ্ধতা দেবে।
যে কবিতা ভোরের সূর্য হয়ে আমার আলোক-তৃষ্ণা মেটাবে।
আমি যে তাকে রাখব ভরে পকেটে- মন চাইলে আওড়াব
পথে যেতে যেতে সে কবিতার কলি গেঁটে আমি যে সুখ-পরশ নেব।
আমার প্রেমিকা এসে বলবে তুমি কি কবিতাকে আমার চেয়ে বেশি ভালবাস!
মা বলবে সব কাজ রেখে কবিতা নিয়ে পড়ে থাকিস্।
আমি যে 'নতুন' যীশু এলে তাকে 'সেটি' পড়ে শোনাব।
আমার পুরাণের বাঁকে বাঁকে শুধু তার উর্মি নাচবে।
(৩) তুই কেমন মানুষ
তোর যন্ত্রণায় ঘর ছেড়েছি।হয়েছি উদ্বাস্তু পথে পথে।বুকের শিশুটিকে খাওয়াতে পারিনি।এক গ্লাস পানির জন্য রাস্তায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছি।
আজ এসেছে করোনা।সে সবাইকে ছিন্ন করতে চাচ্ছে।তার যন্ত্রণায় বেঁচে থাকা দায়।
তুই এর মধ্যেও যন্ত্রণা করিস।বুকের ভেতরে হুল ফুটাতে চাস।
তুই মর সবার আগে। তোর মরা উচিত সবার অগ্রভাগে।
তুই করোনার চেয়েও খারাপ।