বিষাক্ত ইয়র্কারটা এমনভাবে এগিয়ে এলো
দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় রইলো না,
আগলে রাখা প্রেম ছিটকে গেল
সদ্য জমাট বাঁধা কাদার মত।
ঐ নেকলেসের দামী ঝলকানির সামনে
আমি এক ফুটপাতমার্কা কুশপুতুল
যা পুড়িয়ে মনের ঝালও মেটেনা
ঠিকমতো; চৈত্রসেল চলছে আবার!
ভাবছি প্লানচেট করে প্রেমের আত্মাকে
আমন্ত্রণ জানাবো
একটা দামী নৈশভোজে-
হ্যাঁ, ক্যান্ডেল লাইট ডিনার আরকি।
ঘাম আর সুগন্ধীর মিশ্রণের
আলতো মাদকীয়তা, পারসী মাদকীয়তা
ছাড়া বাকিটা সবই কৃত্তিম;
কেবল ক্যানভাসে আঁকা অপ্সরা,
নাকি পাটিগণিতের পয়গম্বর?
হাইহিলের তলাতেও একটা পৃথিবী
আছে যার চারপাশটা কল্পনা করতে
গেলেও কিছু নোট খরচ করতে হয়।
সবাই বোঝেনা কিনা, তাইতো
বামন হয়ে চাঁদ পাড়তে ছোটে-
নিঃশ্বাস আর প্রশ্বাসের সাথে সাথে
নরম বুক ওঠানামা করে ঠিকই
তবে ততটা স্পর্শকাতর নয়।
শেষবার আমি প্রেমে পুড়েছি;
অন্য কারো পাইনি বলে নিজের
ঠোঁটদুটোকে কামড়ে গেছি,
অবিরাম অযথা লিপস্টিক লাগানোর
মাঝের বিরতিতে প্রেম মারা গেছে,
জখম আরও কয়েকজন;
নকল হইতে সাবধান,
প্রেম কিনিবার আগে বিশ্বস্ততার
প্রতীক “সাপ মার্কা” খাঁটি প্রেমই
কিনুন, অন্যথা কোনো ক্ষতি
হয়ে থাকিলে, তাহার
জন্য কোং দায়ী নহে!