নিবন্ধিত নারীNibondito Nari

আলাউদ্দিন আদর রচিত নিবন্ধিত নারী গ্রন্থটি নয়, গ্রন্থের পান্ডুলিপিটি আমি পড়লাম। যা বই আকারে এই মেলায় আসছে। তখন আরো সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ার সুযোগ পাবো।
আলাউদ্দিন আদরের এই বইটি হবে প্রথম কবিতার বই। আর বিস্ময় এবং আনন্দের বিষয় হল এই তারই লেখা আরেকটি গবেষণাধর্মী পান্ডুলিপি জাতীয় পর্যায়ে একটি বড় ধরণের পুরস্কার পেয়েছে। এই পান্ডুলিপিটি পড়ে আমার ধারণা এটিও অবশ্যই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।

বেশ কিছু কবিতার সমিল হলেও ছন্দে এলোমেলো করা। মনে হয় ইচ্ছাকৃত ভাবেই এমনটি করা হয়েছে। আবার সমিল পরিচ্ছন্ন শব্দে নির্ভুল ছন্দে রচিত কবিতা পদ্যের গাঁ ঘেসে লেখা ভালো লাগার পাশাপাশি চমকও আছে। প্রথম বইতো দ্বিদাধন্দ থাকবেই। আর আছেও। তবে আমার মনে হয়েছে আলাউদ্দিন আদর পেশায় প্রকৌশলী হলেও কবিতার ঘর-সংসারে তিনি একেবারেই আপন জনের মতই/কাছের স্বজনদের মতই আমন্ত্রিত হবে। আমি মনে প্রাণে তাকে শুভেচ্ছা জানাই।

বাংলাদেশের কবিতা প্রেমিক/প্রেমিক সচেতন পাঠক প্রকৃত কবিকেই চিনত ভুল করেন না। আলাউদ্দিন আদর কবিতার প্রকৃত পাঠকদের সমাদর পাবেন বলেই আমি মনে করি। আদরকে আমার আগাম আন্তরিক অভিনন্দন।

আসাদ চৌধুরী
২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
ঢাকা

আলাউদ্দিন আদর। দুরন্ত তরুণ কবি। ছোটকাগজের সম্পাদক। প্রবন্ধ লেখায়ও প্রতিশ্রুতিশীল। এ-সময়ের তারুণ্যের কণ্ঠস্বর। আলাউদ্দিন আদর সাহিত্যচর্চা করছে অনেক দিন ধরে। সাহিত্যের মাঠে নিজেকে কৃষক পরিচয় দিয়ে থাকে। সাহিত্যের দিগন্তে কবির উড়াল শিখে এখন সে উড়ন্ত পাখির ভূমিকায় সঞ্চরণশীল। কবি হিসেবে আদর নতুন হলেও ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রেখেছে। অত্যন্ত আনন্দের খবর হচ্ছে আদরের এটিই প্রথম গবেষণাধর্মী মৌলিক রচনা। প্রিয় বাংলা পা-ুলিপি পুরস্কার ২০১৮’র প্রবন্ধ বিভাগে এটি পুরস্কার প্রাপ্ত পাণ্ডুলিপি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আদরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নিবন্ধীত নারী’ ইতোমধ্যে পাঠক মহলে বেশ সাড়া পেলেছে। আগামী দিনে আমরা তাকে বড় কবিরূপে দেখতে চাই। বড় কবি হওয়ার বাসনা ও সাধনা দুটোই আদরের মাঝে আছে। আলাউদ্দিন আদর প্রবন্ধ-নিবন্ধ চর্চা করে আসছে দীর্ঘদিন। ২০১৮ একুশে বইমেলায় প্রকাশিত ‘সাহিত্যে নোবেল : ভেতর বাহির’ আদরের সেই প্রয়াসেরই দৃষ্টান্ত। বিশ^সাহিত্যের সাথে যুক্ত ও সাহিত্যে সর্বোচ্চ পুরস্কার নোবেল প্রাইজ নিয়ে আদ্যপান্ত তথ্যাদি, ভিতর-বাহিরের কথা, নোবেল প্রাপ্ত সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম ইত্যাদি নিয়ে বেশ সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থ। পাঠক সমাজে বইটি ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ- ঝঊখ ২১শে বইমেলা বুলেটিন ২০১৬ “লেখক সম্মাননা” স্মারক। মাসিক পথিক কর্তৃক ‘পথিক লেখক সম্মাননা-২০১৬’। নানামুখী প্রতিভাবান এই তরুণের ঝুলিতে রয়েছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত নয়াচাবুক নামক কার্টুন পত্রিকার আইডিয়া কার্টুন প্রতিযোগীতায় তিন বার দেশসেরা কার্টুনিস্টের পুরস্কার। গত বছর রমজানে আলাউদ্দিন আদর আত্ম প্রকাশ করে গীতিকবি হিসেবে। আদরের কথায়, হাবিব মোস্তফা সুরে, আবিদ আজমের কণ্ঠে “খুশির চাঁদ” শিরোনামের গানটি সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সব কিছু ব্যতিরেকে নিজেকে একজন অতি সাধারণ মানুষ ভাবতে পছন্দ করেন পরিচিত ও পাঠকমহলে ব্যপক জনপ্রিয় এই বিনয়ী কবি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্নে কাজ করেছেন সোস্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, পথের ফুল, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশী ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে। আলাউদ্দিন আদর সম্পাদিত ‘সময়ের জানালা’ লেখক-পাঠকের মনোযোগ কেড়েছে। অনলাইন একটিভিস্ট ও সমাজসেবা কর্মী হিসেবেও আদরের সুনাম ও পরিচিত আছে। ১০ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফেনী জেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সুবলপুরে গ্রামে জন্ম নেয়া এই লেখকের বাবা মুন্সি আব্দুল ওহাব এবং মাতা পাঞ্জাব বিবি। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মাঝে সর্বকনিষ্ঠ কবি। বর্তমানে সে পুর প্রকৌশল বিদ্যায় (উচ্চতর) অধ্যয়নরত। সাহিত্যাঙ্গনে সত্য ও সুন্দরের কবি নামে পরিচিত কবি আলাউদ্দিন আদরের এবারের নিবেদন স্বল্পদৈর্ঘ্যরে কবিতার বই “এক টুকরো হৃদয়”। কাব্যগ্রন্থটি পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া জাগাবে বলেই আমি দারুণভাবে আশাবাদী।
ড. ফজলুল হক
তুহিন কবি ও গবেষক
ঢাকা,বাংলাদেশ।

লেখকের পিতা ও মাতাকে উৎসর্গ করা